চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে জার্মানিতে সিএমজি’র বিশেষ অনুষ্ঠান
2024-09-15 18:59:24

সেপ্টেম্বর ১৫: জার্মানি সময় শনিবার বার্লিনে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য বিশেষ ইভেন্ট ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানটি চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজি, জার্মানিতে চীনা দূতাবাস, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীন-বিদেশি ভাষা বিনিময় ও সহযোগিতা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়। চীনের উপ প্রচারমন্ত্রী ও সিএমজি’র মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।  

জনাব শেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, সিএমজি ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ কার্যক্রম আয়োজন করেছে। বিশ্বব্যাপী চীন ও বিদেশের মধ্যে ১৬০০টিরও বেশি গল্পের কার্যক্রম চালু করেছে, ৬০টিরও বেশি দেশের বন্ধুদের গল্প পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অক্ষর অভিন্ন আবেগ প্রকাশ করে, বিশ্বের সব দেশের আবেগ ও সংস্কৃতির গভীর একীকরণের প্রতিনিধিত্ব করে, সব দেশের মানুষ শান্তি ও সৌন্দর্যের জন্য গভীর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে, জাতীয় সীমানা এবং সময় ও স্থান জুড়ে মানুষের বন্ধুত্বের গভীর শক্তি ঘনীভূত করে। সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন বিশ্বব্যাপী আধুনিকীকরণের জন্য নতুন উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করেছে এবং সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান ও পারস্পরিক শিক্ষা গভীর করেছে। একে লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে শক্তিশালী করা হবে, বৈশ্বিক সভ্যতার মধ্যে কথোপকথন উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি, মানুষে মানুষে যোগাযোগ প্রচার করা, চীনা সংস্কৃতির চূড়ান্ত রোমান্টিক উষ্ণতা চিত্রিত করার কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জার্মানিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত তেং হুং বো বলেন, চীন ও জার্মানি উভয়ই গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশ এবং পারস্পরিক উপলব্ধি, পারস্পরিক আকর্ষণ ও পারস্পরিক শিক্ষা কখনোই থামেনি। আমরা চ্যালেঞ্জের একটি যুগে রয়েছি এবং বিশ্বের যোগাযোগ ও সহযোগিতা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে হবে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন যে, বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সমান আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক শিক্ষা মানবজাতিকে সময়ের সমস্যা সমাধানে এবং সাধারণ উন্নয়ন অর্জনে শক্তিশালী আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। আশা করা যায়, আরও বেশি সংখ্যক তরুণ জার্মান চীনা ভাষা শিখবে, তারা ঘুরে বেড়ানো এবং চীন দেখা, আরও চীনা বন্ধু তৈরি করা এবং চীন ও জার্মানির মধ্যে বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার খাতে বন্ধুত্বপূর্ণ দূত হওয়ার সুযোগ পাবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)