সেপ্টেম্বর ১৩, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: মানবজাতি যৌথভাবে বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন ও বৃহত্তর অবদান রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
শুক্রবার বেইজিংয়ে শুরু হওয়া ১১তম বেইজিং সিয়াংশান ফোরামে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং অভিনন্দন পত্রে এ কথা বলেন। ।
এই ফোরামে পাঠানো অভিনন্দন পত্রে সি চিনপিং বলেন, এক শতাব্দীতে দৃশ্যপটের গভীর পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বিশ্বব্যাপী মানুষের আকাঙ্ক্ষার মুখোমুখি হয়ে চীন বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে এবং সব পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য তৈরিতে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে এবং বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা শাসনের উন্নতির জন্য কাজ করার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি এবং সার্বজনীন নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
তিনি আরও বলেন, এটা আশা করা যায় যে বর্তমান ফোরাম সাম্য, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি এবং পারস্পরিক শিক্ষার চেতনাকে সমুন্নত রাখবে, ঐক্যমত্য গড়ে তুলবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাসকে আরও গভীর করবে, যাতে যৌথভাবে বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন এবং বৃহত্তর অবদান রাখতে পারে।
মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যতের একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান সি চিনপিং।
গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ বা বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ ২০২২ সালে সি চিনপিং কর্তৃক প্রস্তাবিত হয়।
১১তম বেইজিং সিয়াংশান ফোরামে ১০০ টিরও বেশি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার ১৮০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত হন।
২০০৬ সালে সূচিত, বেইজিং সিয়াংশান ফোরাম উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক প্রভাবসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় একটি উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ফোরাম।
চলতি বছর ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো, একটি অংশীদারীত্বমূলক ভবিষ্যতের জন্য শান্তির প্রচার।
এই বছরের ফোরামে চারটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, আটটি বিশেষ অধিবেশন, পাশাপাশি অন্যান্য বৈশিষ্ট্যমূলক কার্যক্রম রয়েছে৷
শান্তা/শুভ