৭৫ বছরে চীনের শস্য উৎপাদন বেড়েছে ৫ গুণের বেশি
2024-09-10 19:21:13

সেপ্টেম্বর ১০: বিগত ৭৫ বছরে চীনের শস্য উৎপাদনে বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। ২০২৩ সালে শস্য উৎপাদন ১.৩৯০৮ ট্রিলিয়ন চিন হয়েছে, যা ১৯৪৯ সালের তুলনায় এক ট্রিলিয়ন চিন বেশি বা ৫.১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ইউনিট এলাকায় শস্যের উত্পাদনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীনের কৃষি অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নতি হয়েছে এবং এর শিল্প কাঠামো অপ্টিমাইজ ও আপগ্রেড করা হয়েছে। ২০২৩ সালে চীনের কৃষি, বনজ, পশুপালন এবং মৎস্যের মোট আউটপুট মূল্য ছিল ১৫ হাজার ৮৫০.৭ বিলিয়ন ইউয়ান, যা ১৯৫২ সালের ৪৬.১ বিলিয়ন ইউয়ান থেকে ১৫ হাজার ৮০৪.৬ বিলিয়ন ইউয়ানে বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন পদ্ধতির রূপান্তরের সাথে সাথে চীনের কৃষি উৎপাদন চাষাবাদকে প্রধান শিল্প হিসেবে একটি উচ্চ একক কাঠামো থেকে ‘কৃষি, বনজ, পশুপালন ও মত্সের ব্যাপক, বহুমুখী ও সমন্বিত উন্নয়নে একটি ঐতিহাসিক রূপান্তর বাস্তবায়ন করেছে। খাদ্য সরবরাহের বৈচিত্র্যকরণ ব্যবস্থার নির্মাণ ত্বরান্বিত হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সাফল্য সংক্রান্ত চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর আজ (মঙ্গলবার) প্রকাশিত ধারাবাহিক রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

রিপোর্টে দেখা যায় যে, বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান এবং খাদ্যের কাঠামোর পরিবর্তনের ক্রমাগত উন্নতির সাথে সাথে অর্থকরী ফসলের উৎপাদন প্রাণবন্তভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীনের পশুপালন শিল্পের আধুনিকীকরণ এবং স্কেল-আপ প্রক্রিয়াও দ্রুততর হয়েছে। ব্যাপক উৎপাদন ক্ষমতা আরও উন্নত হয়েছে এবং মাংস, ডিম ও দুধের উৎপাদন বহু বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, দেশটি উচ্চমানের কৃষিজমি নির্মাণের প্রচার অব্যাহত রেখেছে, সেচের জলের উৎসের নিশ্চয়তার অগ্রগতি সমন্বিত করেছে। সেচের ক্ষেত্রের নির্মাণ ও রূপান্তর উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে এবং কৃষি ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, বিগত ৭৫ বছরে চীনের কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছোট থেকে বড়, দুর্বল থেকে শক্তিশালী পর্যন্ত ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীন উচ্চ-স্তরের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্ব-নির্ভরতা ত্বরান্বিত করেছে, নতুন কৃষি উৎপাদনশীলতা লালন ও বিকাশ করেছে, কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে, ফলে উদ্ভাবন ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং উদ্ভাবনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে জোরদারও হয়েছে। ২০২৩ সালে চীনের কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অগ্রগতি অবদানের হার ছিলো ৬৩.২ শতাংশ, যা ২০১২ সালের চেয়ে  ৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামগ্রিক স্তর বিশ্বে প্রথম শ্রেণীতে প্রবেশ করেছে।

(লিলি/হাশিম/তুহিনা)