সেপ্টেম্বর ৭: গত দুই দিনে, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে যৌথভাবে আধুনিকীকরণকে উন্নীত করতে চীন ও আফ্রিকা সহযোগিতার নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে অষ্টম চীন-আফ্রিকা উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটি শীর্ষ সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক কার্যকলাপ। চীনা ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ছাড়াও, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কেনিয়াসহ ৪৮টি আফ্রিকান দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার ফোরামের এই শীর্ষ সম্মেলনে, চীন প্রস্তাব করেছে যে আগামী তিন বছরের মধ্যে যৌথভাবে আধুনিকীকরণকে উন্নীত করার জন্য আফ্রিকার সাথে দশটি অংশীদারিত্বমূলক কর্ম সম্পাদন করতে ইচ্ছুক বেইজিং। শিল্প ও সরবরাহ চেইনের আরও একীকরণ থেকে সুযোগ আসে এবং তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার ভিত্তি। আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়ায় চীন ‘মেড ইন আফ্রিকা’ পণ্যের গুণমান উন্নত করতে এবং আপগ্রেড করতে সহায়তা করতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ও শিল্প চেইন সরবরাহ করতে পারে। একই সময়ে, আফ্রিকান পণ্যগুলো চীনের পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রবেশ করতে পারে এবং আরও উন্নয়নের সুযোগ পেতে পারে।
নতুন গতির ক্রমাগত সঞ্চয় থেকেও সুযোগ আসে। ‘সিল্ক রোড ই-কমার্স’ সম্প্রসারণের জন্য একসাথে কাজ করা থেকে শুরু করে চীনের ব্যাটারি গাড়ি, সৌরপ্যানেল এবং বায়ুশক্তি সরঞ্জাম আফ্রিকায় নতুন শক্তির বিকাশে সহায়তা করছে। চীন ও আফ্রিকা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সবুজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতা করেছে।
সুযোগগুলো অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ সহযোগিতার ধারণা থেকে আসে। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, চীন প্রস্তাব করেছে যে, বেইজিং একতরফাভাবে বাজার উন্মুক্তকরণের উদ্যোগ নিতে ইচ্ছুক, এবং ৩৩টি আফ্রিকান দেশসহ চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সমস্ত স্বল্পোন্নত দেশকে ১০০% শূন্য-শুল্ক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সাথে সাধারণ উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারি সম্পর্ক কাঠামোগত চুক্তি নিয়ে আলোচনা ও স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ইচ্ছুক চীন। এটি চীনের বড় বাজারকে আফ্রিকার জন্য একটি বড় সুযোগে পরিণত করবে এবং একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির নির্মাণকে উত্সাহিত করবে।
(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)