সেপ্টেম্বর ৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুধবার বলেছেন, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা বৃহত্তর দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার একটি মডেল যা আফ্রিকার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করছে।
চীনের রাজধানীতে বুধবার শুরু হওয়া চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার (এফওসিএসি) ফোরামের তিন দিনব্যাপী ২০২৪ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জাতিসংঘের প্রধান বিশেষ অতিথি হিসেবে বেইজিংয়ে রয়েছেন।
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এর সাথে একান্ত সাক্ষাত্কারে, আফ্রিকার উন্নয়নে উপনিবেশবাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের প্রেক্ষাপটে তিনি চীন এবং আফ্রিকার জনগণের মধ্যে সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
গুতেরেস বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে আগে মনে রাখতে হবে আফ্রিকা দুইভাবে উপনিবেশবাদের শিকারে পরিণত হয়েছিল। প্রথমত উপনিবেশবাদের সরাসরি প্রভাব। দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন গ্লোবাল গভরনেন্স প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে এবং ব্রেটন উড ব্যবস্থা তৈরি হয়, আফ্রিকার অনেক দেশের তখন অস্তিত্বই ছিল না। তারা তখন ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল। ফলে বিশ্ব ব্যবস্থায় আফ্রিকার যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব ছিল না। এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিসরে গুরুতর প্রভাব রেখেছে।’
এই চ্যালেঞ্জগুলোর আলোকে, গুতেরেস দুটি মূল পদক্ষেপের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন: চীন-আফ্রিকা অংশীদারিত্ব একটি প্রধান উদাহরণ হিসাবে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সংস্কার এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার সুযোগগুলো গ্রহণ।
গুতেরেস আরও উল্লেখ করেছেন, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা আফ্রিকার সম্মুখীন উন্নয়ন বৈষম্যগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করার পাশাপাশি ২০৩০সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, "আমরা যা দেখতে পাই তা হল চীন যখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর সাথে তার বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগকে সারিবদ্ধ করছে, আমি নিশ্চিত, এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আফ্রিকান দেশগুলোকে সমর্থন করার জন্য চীনা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে।"
শান্তা/ফয়সল