সেপ্টেম্বর ৩: বিগত দশ বছরে, চীন-আফ্রিকা পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা দু’পক্ষের জন্যই সুফল বয়ে এনেছে। এ সময়, উচ্চ মানের উন্নয়নের পাশাপাশি, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো আফ্রিকায় সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে; বন্দর, সেতু, ও সবুজ জ্বালানি খাতে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। আফ্রিকান অ্যাভোকাডো, তিল, চিনাবাদামসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য চীনে আমদানি হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি ৫০ জন আফ্রিকান পন্ডিতকে লেখা এক জবাবি চিঠিতে বলেন, চীন ও আফ্রিকা সর্বদা অভিন্ন কল্যাণের সমাজের অংশ।
চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সিজিটিএন’র সম্প্রতি প্রকাশিত এক ইন্টারনেট জরিপের ফল অনুসারে, ৮৬.৩ শতাংশ আফ্রিকান উত্তরদাতা আফ্রিকার সাথে সহযোগিতায় চীনের আন্তরিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এ সহযোগিতা থেকে বাস্তব ফলাফল অর্জিত হয়েছে ও হচ্ছে এবং দু’পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক সখ্যতা ও বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে ও হচ্ছে। তাঁরা নতুন যুগে চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে আগ্রহী।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন, যৌথভাবে আধুনিকায়নের কাজকে এগিয়ে নিতে এবং উচ্চ মানের চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফ্রিকা নিউজ-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে টেকসই ও পারস্পরিক কল্যাণকর চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে।
বিগত ২৪ বছরে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের সদস্যসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫টিতে। চীন ও আফ্রিকান দেশগুলো জাতির মুক্তির জন্য লড়াইয়ে পরস্পরকে সহায়তা করেছে। দু’পক্ষ আধুনিকায়ন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থ সুরক্ষা, এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে চীন সার্বিকভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পথে হাঁটছে এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন ‘পরিকল্পনা ২০৬৩’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। দু’পক্ষ যৌথভাবে আধুনিকায়নের জন্য কাজ করে গেলে, ‘উচ্চ মানের চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’ গড়ে তোলা সহজ হবে।
সম্প্রতি চীন সরকার ‘চীন-আফ্রিকা বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিবেদন’ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিগত দশ বছরে আফ্রিকায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তিবদ্ধ প্রকল্পের মূল্যমান ৭০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো থেকে ৯০০ মিলিয়নেরও বেশি আফ্রিকান মানুষ উপকৃত হয়েছে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)