আগষ্ট ৩১: ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে আন্তরিকতা, বাস্তব ফলাফল, সখ্যতা, ভালো বিশ্বাস, ইত্যাদি টার্ম ব্যবহার করেন। এর পর থেকেই চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরাম এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায়, চীনের সাথে আফ্রিকার সহযোগিতা অব্যাহতভাবে উন্নত হতে থাকে। প্রেসিডেন্ট সি বলেছিলেন, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ভালো কি না, তা শুধুমাত্র চীনা ও আফ্রিকান জনগণই বলতে পারেন।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে গিনি-বিসাউ’র প্রেসিডেন্ট উমারো এল মোক্তার সিসোকো এমবালো চীন সফর করেন। এটি ছিল এমবালোর সেদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম চীন সফর। তার সফরকালে দু’দেশের নেতারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা আরও সিদ্ধান্ত নেন যে, দু’দেশ অব্যাহতভাবে কৃষি, মত্স্য ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা উন্নয়নের পাশাপাশি খনিজ, জ্বালানিসম্পদ, নীল অর্থনীতি ও ডিজিটাল অর্থনীতি খাতেও সহযোগিতা জোরদার করবে।
তখন সি চিন পিং বলেছিলেন, আফ্রিকা হলো ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী। এ পর্যন্ত ৫২টি আফ্রিকান দেশ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন চীনের সাথে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় সমঝোতা-স্মারক স্বাক্ষর করেছে এবং তারা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক, অংশগ্রহণকারী ও উপকারভোগীতে পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত ‘চীন-আফ্রিকান বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিবেদন’-এ বলা হয়েছে, চীনা প্রতিনিষ্ঠানগুলো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রেলপথ, প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার সড়কপথ এবং প্রায় একশো সেতু ও বন্দরের নির্মাণ ও রূপান্তরে অংশগ্রহণ করেছে। গত জুন পর্যন্ত চীন ৫৩টি আফ্রিকান দেশে অর্থ-সহায়তা দিয়েছে এবং খাদ্যশস্য, পানি সরবরাহ, নারী ও শিশু এবং শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ধারাবাহিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে।
আগামী মাসের প্রথম দিকে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন বেইজিংয়ে আয়োজিত হবে। ছয় বছর পর চীন ও আফ্রিকার নেতারা পুনরায় চীনে মিলিত হবেন এবং যৌথভাবে বিভিন্ন সহযোগিতার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)