অগাস্ট ৩১: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বার বার জোর দিয়ে বলেছেন, তরুণরা চীন-আফ্রিকা সম্পর্কের আশা-ভরসা। চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে যুব-সমাজের অবদান প্রয়োজন।
চীন-আফ্রিকা বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সবসময় তরুণ প্রজন্মের মিশন ও দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন। তিনি বহুবার, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন উপায়ে, চীন ও আফ্রিকার যুব-সমাজকে, দু’পক্ষের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী রক্ষা করতে এবং সক্রিয়ভাবে চীন-আফ্রিকা বন্ধুত্ব জোরদার করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ছয় বছর আগে বেইজিংয়ে, চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের বেইজিং শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, প্রেসিডেন্ট সি ‘হাতে হাতে রেখে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলা এবং যৌথভাবে উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া’ শীর্ষক মূল ভাষণ দেন। এতে চীন ও আফ্রিকার যুবকদের কাছে নিজের উচ্চ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট সি।
২০১৯ সালের মার্চে আফ্রিকায় চীনের নির্মিত প্রথম লুবান ওয়ার্কশপ, ‘জিবুতি লুবান ওয়ার্কশপ’, জিবুতির বিজনেস স্কুলে উদ্বোধন করা হয়। সক্ষমতা বৃদ্ধি খাতে আফ্রিকা-চীন সহযোগিতার সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন জিবুতির প্রেসিডেন্ট গুয়েলেহ।
২০২১ সালের নভেম্বরে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতাসম্পর্কিত ফোরামের অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, অব্যাহতভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা করে যাবে চীন। আফ্রিকায় অন্তত ৮ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে উত্সাহও দেন তিনি।
২০২২ সালের ৮ জুন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নায়ারে লিডারশিপ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের চিঠির জবাবে লেখেন, চীন ও আফ্রিকা একটি অভিন্ন কল্যাণের সমাজ এবং চীন ও আফ্রিকার জনগণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব নির্ভর করছে তরুণ সমাজের ওপর। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)