অগাস্ট ২৮: সম্প্রতি চীনের ইউননান প্রদেশের হাতিগুলো আবার ‘হাঁটাহাঁটি’ করছে বা ঘুরে বেড়ানো শুরু করেছে। স্থানীয় পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ কর্মীদের যত্নে ৪২টি হাতি অনেক হৈ চৈ করে অবশেষে সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপদে ফিরে গেছে। তাদের এ ধরনের যাত্রা বিশ্বের নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
হাতির দল ঘুরে বেড়ানোর সময় স্থানীয়দের জমির ফসল খেতে পারে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিমা ব্যবস্থা আছে। ইউননান প্রদেশ বিশ্বে প্রথম এ ব্যবস্থা শুরু করেছে। ‘বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কনভেনশন’ তথা সিআইটিইএস-এর সচিবালয় ২০২৩ সাল ইউন নানের এ ব্যবস্থাকে বিশ্বের জন্য একটি মডেল হিসেবে নির্দিষ্ট করেছে। ইউননান প্রদেশের সিসুয়াংপাননা প্রিফেকচারে এশিয়ান হাতি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উপপ্রধান শিং ছাও ইং বলেন, সবার প্রচেষ্টায়, স্থানীয় বাসিন্দা ও হাতিগুলো সমন্বিত সহাবস্থান করছে। জনগণ হাতিদের সুষ্ঠুভাবে রক্ষা করছে।
চীনে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি ইতোমধ্যে গভীরভাবে মানুষের মনে স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি আয়োজিত সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পরিবেশগত সভ্যতা ব্যবস্থার সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিশেষ দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মূলত, পরিবেশ সুরক্ষা হচ্ছে উৎপাদন শক্তি সুরক্ষা এবং পরিবেশ উন্নয়ন হচ্ছে উৎপাদন শক্তির উন্নয়ন।
সবুজ উন্নয়ন হলো চীনের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়েছে যে, সবুজ ও নিম্নকার্বন উন্নয়ন ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। জুলাই মাসের শেষ দিকে, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সার্বিক সবুজ রূপান্তর আরও দ্রুত করার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা’ প্রকাশিত হয় চীনে। এতে সার্বিক সবুজ রূপান্তরের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষা দুটি বিষয়কে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে চীন। যা আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য একটি মডেল সৃষ্টি করেছে।
একাধিক বাস্তবতায় দেখা যায়, মানুষ ও প্রকৃতির সমন্বিত সহাবস্থানের আধুনিকায়ন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে চীনের লক্ষ্য। ভবিষ্যতে, বিশ্বের উন্নয়নে চীন অবশ্যই আরও বেশি ‘সবুজ’ দেবে, এবং বিশ্বের পরিবেশগত প্রশাসনে আরও বেশি চীনা মেধা ও পদ্ধতি দিয়ে অবদান রাখবে।
(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)