আগস্ট ২৭, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণে অর্ডারের ৭০ ভাগই এখন যাচ্ছে চীনে। সামুদ্রিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার এবং গাড়ি সরবরাহের চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে পণ্যবাহী জাহাজের চাহিদা।
সম্প্রতি শাংহাইয়ের ছাংসিং দ্বীপে, ৩৩৬ মিটার লম্বা, ৫১ মিটার চওড়া এবং ২৬.৮ মিটার উঁচু একটি বিশাল কন্টেইনার জাহাজ ডেলিভারির জন্য সেট করা হয়েছে, যা ডেকটি তিনটি ফুটবল মাঠের সমান।
এলএনজি বা তরল জ্বালানি বহনকারী জাহাজটি এই বছর শাংহাইয়ের হুতোং চংহুয়া শিপবিল্ডিং প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা ষষ্ঠ জাহাজ। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি কন্টেইনার জাহাজ বানাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এর সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পণ্যবাহী জাহাজের চাহিদা।
আর বিশ্বব্যাপী এখন ১৮ ধরনের বড় জাহাজের মধ্যে ১৪টিতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। বিশেষ করে কন্টেইনার জাহাজের অর্ডারগুলোতে বিশ্ববাজারের ৯৭.৫ শতাংশই চীনের দখলে।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাড়ি পরিবহনের কাজেও পণ্যবাহী বড় জাহাজের চাহিদা বাড়ছে।
চায়না মার্চেন্টস হেভি ইন্ডাস্ট্রি হাইমেনের নির্মাণ ব্যবস্থাপক ছাই ই জানান, ‘গাড়ি রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধি আমাদের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিকাশকে উৎসাহিত করছে। পুরো শিল্পটি এখন রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার ভলিউমের সাক্ষী হচ্ছে।’
শাংহাই কাস্টমসের পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ বিভাগের উপ-পরিচালক লি চিরোং জানালেন, ‘কাস্টমস ডেটা দেখিয়েছে, বড় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজ, তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস জাহাজ, বড় কন্টেইনার জাহাজ এবং অটোমোবাইল পরিবহনের জন্য নিবেদিত রো-রো জাহাজের চাহিদা চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বেড়েছে ৯০ শতাংশ। জাহাজ বিক্রির সামগ্রিক বৃদ্ধিতে এগুলো ৬০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে।’
এই বছরের প্রথমার্ধে, চীনের জাহাজ নির্মাণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ০২ মিলিয়ন ডেডওয়েট টনে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮.৪ শতাংশ বেশি। এরইমধ্যে আবার অর্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডেডওয়েট টনে।
ফয়সল/শান্তা