চীনে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেরা শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করছে
2024-08-26 15:30:09

চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হয়ে আসছে। কাওখাও পরীক্ষার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনকাজ তথা ভর্তি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যারা কাওখাও পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেছেন, তাঁদের অনেক সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় বেছে না-নিয়ে, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তার কারণ এবং চীনের বিভিন্ন প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।

বর্তমানে চীনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১টিতে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কারিগরি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে? এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন? চলুন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যাক।

চীনের চেচিয়াং প্রদেশের ফুইয়াং শহরের শিক্ষার্থী ছেন ইয়ু সিউয়ান কাওখাও পরীক্ষায় ৬০২ স্কোর করেছেন। চেচিয়াং মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর রেল ট্রানজিট সরঞ্জাম এবং নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন তিনি। চলতি বছরের জুলাই মাসে এ কারিগরি কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থী ছেনের মতো অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না-হয়ে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এ কারণে, বিভিন্ন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য ভর্তিপরীক্ষার স্কোরও দিন দিন বাড়ছে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে চীনে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭.৮২ শতাংশ বেশি। আর, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর ১.৬ শতাংশ।

শেনচেন কারিগরি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় বছরের মতো অর্নাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। কুয়াংতুং প্রদেশে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে ৪৭১ জন, যা গত বছরের চেয়ে ২৭১ জন বেশি। বিশ্ববিদ্যালযে নতুন ৯টি অনার্স বিভাগ চালু হয়েছে। অর্নাস শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি কুয়াংতুং হাল্কা শিল্প কারিগরি কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। চলতি বছরেও অনেক সেরা শিক্ষার্থী আকৃষ্ট হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাওখাও স্কোর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্কোরের চেয়ে ৭৮ বেশি। আর, ইতিহাস বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য প্রয়োজনীয় স্কোরের চেয়ে ৭০ বেশি। তা ছাড়া, শিল্পকলা ও ডিজাইন বিভাগে স্কোর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ৮৯ বেশি।

চীনের হাইনান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট চেং পিং বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ শুরু করে। গত ৫ বছরে অনার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। ভর্তি হতে হলে কাওখাও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উচ্চ স্কোর থাকতে হয়। এই প্রয়োজনীয় স্কোর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্কোরের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ বেশি। চলতি বছর শানতুং প্রদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্কোরের চেয়ে ২২ বেশি পেয়েছে।

কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজর সৃষ্টির সাথে বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়ন ও বাজারের চাহিদার সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি সিভিল বিষয়ক কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫টি অনার্স পর্যায়ের কারিগরি মেজর নির্ধারিত হয়েছে। এতে আধুনিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা, বিবাহ পরিষেবা, এবং ব্যবস্থাপনা মেজর রয়েছে। এসব মেজর আধুনিক সমাজে চীনা জনগণের জীবনের চাহিদা মেটাতে পারে।

চীনের কুয়াংতুং হালকা শিল্প কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় চলতি বছর প্রথমবারের মতো আধুনিক সূক্ষ্ম রাসায়নিক প্রযুক্তি, সিন্থেটিক বায়োটেকনোলজি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ৬টি অনার্স কোর্স চালু করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ-বাণিজ্যিক একাডেমির শিক্ষক হান পাও কুও বলেন, চলতি বছর আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রথমবারের মতো অনার্স শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য, হংকং-কুয়াংতুং-ম্যাকাও এলাকার লজিস্টিক শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট লজিস্টিক পরিকল্পনাকারী ও লজিস্টিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষকের চাহিদা মেটানো।

কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে? অতীতে, কারিগরি স্কুল থেকে পাওয়া সনদের মর্যাদা কম ছিল। সাম্প্রতিক কালে এসে, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপত্রের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

কুয়াংতুং প্রদেশের ম্যাডাম কু মনে করেন, তাদের ছেলেমেয়েরা কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিচ্ছে যথার্থ কারণেই। এমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর সহজে চাকরি পাওয়া যায়। এখান থেকে অর্জিত ডিগ্রিও সাধারণ অনার্স ডিগ্রির মতো।

কর্মসংস্থানের সুযোগ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ। শিক্ষার্থী মাও লিয়াং ইয়ু হাইনান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগ ডেটা ও প্রয়োগ বিভাগে পড়াশোনা করছেন। তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি, এখানকার শিক্ষার্থীরা সহজে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পেতে পারে। ইতোমধ্যে ক্লাসের ৫৭ জন সহপাঠীর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ চাকরি মোটামুটি ভালো।

অনেক শিক্ষার্থী ভালো চাকরির কারণে চেচিয়াং ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল পরিবহন সরঞ্জাম ও নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীদের ৯৮ শতাংশেরও বেশি পাস করার সাথে সাথে চাকরি পায়। চীনের রেলগাড়ি ও সাবওয়ে গ্রুপ, ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল একাডেমিসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল, সংশ্লিষ্ট কারিগরি অনুশীলন ও কর্মদক্ষতার প্রশিক্ষণ। চীনের কুয়াংতুং হালকা শিল্প ও প্রযুক্তি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্স মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি বিভাগের উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, এর মূল প্রশিক্ষণ বিষয় প্রক্রিয়াকরণ প্লাস পরিষেবার কর্মদক্ষতার উন্নয়ন, তাতে গবেষণা ও উদ্ভাবন, পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং বিক্রয়োত্তর সেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি বিভাগের শিক্ষক চাং পাও ছাং বলেন, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পেশাদার জ্ঞান, পেশাদারিত্ব আর প্রযুক্তিগত কর্মদক্ষতার ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের ওপর নজর রাখতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অনুশীলন আর তাত্ত্বিক জ্ঞান বুঝতে সক্ষম হয়।

হারবিন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমির শিক্ষক সুন ফু ছাই বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যা মোকাবিলার দক্ষতার প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে, তা সহজভাবে বাস্তবায়ন করা ও কার্যকরভাবে সমস্যা মোকাবিলা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

চীনের শিল্প উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কাঠামোর দ্রুত সমন্বয়ের প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন শিল্পে দক্ষ ও শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই চীনের বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ পর্যায়ের দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ প্রকাশিত ‘আধুনিক কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন পরামর্শ’ শীর্ষক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে চীনের কারিগরি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার কারিগরি কলেজের ভর্তির সংখ্যার ১০ শতাংশের চেয়ে কম হবে না। এ থেকে বোঝা যায়, চীনের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সংখ্যা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাবে।

কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আধুনিক কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার উচ্চ মান নিশ্চিত করা যায়? কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান কার্যক্রম পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলা যায়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পাস করা স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ-পদ্ধতি উন্নত করা এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের পড়াশোনা ও বাস্তব উন্নয়ন নিশ্চিত করা এ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

এ কাজের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীগণ ও তাদের পিতামাতা এবং শিক্ষকরা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মানদন্ড ও প্রশাসনপদ্ধতি চালু হলেও, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশিক্ষণের মানদণ্ড, প্রশিক্ষণ কোর্সের মানদণ্ড ও ইন্টারশিপ মানদণ্ডসহ আরও বিস্তারিত নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিছু কিছু কারিগরি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবার পর, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো উন্নত হতে চায়, যা ভুল। কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনার্স ডিগ্রির ওপর মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি, বাস্তব কর্মদক্ষতা অর্জনের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাই, কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য বুঝতে হবে।

কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের গুণগত মান, কর্মসংস্থানের জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগ ব্যবস্থা, ও কর্মসংস্থানের সংযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। সংশ্লিষ্ট শিল্পের দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা বিবেচনা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযোগী বিভাগ চালু করা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ৪ বছরের শিক্ষা গ্রহণের পর, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট শিল্পের উন্নয়নের প্রবণতার পূর্বাভাস করাও জরুরি।

(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)