তৌ ওয়ে
2024-08-23 11:07:29

তৌ ওয়ে ১৯৬৯ সালের ১৪ অক্টোবর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের রক মহলের একজন গায়ক এবং নিরীক্ষাধর্মী সংগীতশিল্পী।

১৯৮৯ সালে তৌ ওয়ে সংগীতদল ‘ব্ল্যাক প্যান্থারস’-এ প্রধান গায়ক হিসেবে যোগ দেন এবং গান লেখেন। ১৯৯১ সালে তিনি সংগীতদলটি ত্যাগ করে,  দ্য ড্রিমার্স ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। একই সময় তিনি রেকর্ড কোম্পানি ম্যাজিক পাথরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে, ১৯৯৪ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘কালো স্বপ্ন’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামটি মনে করা হয়, তাঁর রকসংগীত থেকে নিরীক্ষাধর্মী সংগীতে যাবার পরিবর্তনকালীন সৃষ্টিকর্ম। এ যুগে বসবাসকারী অনেক তরুণের মতো, জীবনের বিভ্রান্তি এবং সমস্যাগুলো ‘স্বপ্ন’ আকারে মুক্তি পায়। তিনি একটি আরো পরীক্ষামূলক কৌশলে সমস্ত গানকে সাউন্ড ইফেক্টের সাথে সংযুক্ত করেন, যেন জীবনের স্বপ্নের টুকরোগুলোকে আবার একত্রিত করা হয়, শ্রুতি কল্পনার অভিজ্ঞতাকে শক্তিশালী করেন। প্রতিটি গান স্বপ্ন থেকে আসার মতো, যা আপনি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু আপনি জানেন যে প্রতিটি ড্রামের বীট সরাসরি হৃদয়ের গভীর থেকে আসে বলে মনে হয়, আপনি কেবল হার্টবিট শুনতে পান না; এর প্রতিধ্বনি শুনতে পান। 

 

১৯৯৫ সালে তৌ ওয়ে একক অ্যালবাম ‘উজ্জ্বল রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ’ প্রকাশ করেন। এটি হলো তাঁর সংগীত শৈলী পুরোপুরিভাবে পরিবর্তনের প্রতীক। অ্যালবামটি পুরোপুরিভাবে তাঁর আগের ধরন পরিত্যাগ করে। এতে ১১টি গানের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জীবনের প্রতি তাঁর নতুন অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করেন তিনি। গানগুলো থেকে এক ধরনের মুক্তি অনুভব করা যায়। যেন জানালার বাইরে মেঘ আর রোদ, কিন্তু হৃদয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আছে। উল্লেখ্য, অ্যালবামটির বিক্রয় পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি নিশ্চয়ই অ্যালবামের শিরোনাম গান ‘উজ্জ্বল রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ’ আপনাদের শোনাচ্ছি। 

১৯৯৮ সালে তৌ ওয়ে’র অ্যালবাম ‘পাহাড় আর নদী’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামে গানগুলো হ্রদের দৃশ্য, চার ঋতুতে সকাল-সন্ধ্যার পরিবর্তিত দৃশ্য আছে। আরো আছে নিকটজন ও নিজের প্রতি সমালোচনা ও উপলব্ধি। অ্যালবামটি বাদ্যযন্ত্রে তাঁর অন্য রকম চেষ্টা এবং লিরিক্সে অস্পষ্ট রূপান্তরের পদ্ধতি বিশিষ্ট কিছু করে। এখন থেকে তাঁর মনের অবস্থার পরবির্তন এবং সংগীতের প্রতি তাঁর নুতন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের বিক্রয় পরিমাণ ৭০ হাজার কপি ছিল। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি অ্যালবামের শিরোনাম গান ‘পাহাড় আর নদী’ আপনাদেরকে শোনাচ্ছি, কেমন?

 

১৯৯৯ সালে তৌ ওয়ে স্বপ্নীল ও গাম্ভীর্যে ভরা তাঁর চতুর্থ অ্যালবাম ‘অডিটরি হ্যালুসিনেশন’ প্রকাশ করেন। তিনি অব্যাহতভাবে নিজের আগ্রহের সংগীত রূপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সম্প্রসারণ করতে থাকেন। অ্যালবামের থিমসং বা শিরোনাম গানটিতে গিটারের সোলো অংশ অতিরিক্ত কান-ধরা হয়। খুব বৈশিষ্ট্যময়। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি ‘অডিটরি হ্যালুসিনেশন’ গানটি আপনাদের শোনাই। 

 

তৌ ওয়ে’র আরেকটি গান দিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শেষ করছি। গানের নাম ‘আশার আলো’। 

 

(প্রেমা/হাশিম)