আগস্ট ২৩: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট ইউরোপীয় কমিশন চীনা যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর ভর্তুকি-বিরোধী তদন্ত নিয়ে একটি চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করেছে এবং চীনা রপ্তানিকৃত উদ্যোগগুলোর উপর ১৭ শতাংশ থেকে ৩৬.৩ শতাংশের ভর্তুকি-বিরোধী শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেন এ মামলাটির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর লক্ষ্য ছিল ইইউ’র বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের রূপান্তর এবং বিকাশের জন্য স্থান তৈরি করা। আন্তর্জাতিক সমাজ এ মামলার প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। অনেক ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, গাড়ি শিল্পজড়িত সংস্থা এবং উদ্যোগ, থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং পণ্ডিতরা তাদের মতামত প্রকাশ করে উল্লেখ করেছেন যে, এই ভর্তুকি-বিরোধী তদন্ত ‘ন্যায্য বাণিজ্য’ নামে সুরক্ষাবাদ বাস্তবায়ন করা, ইইউ বৈদ্যুতিক যান শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রতিযোগিতার ভয় করা উচিত্ নয়।
প্রকৃতপক্ষে, ইইউ’র পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং সবুজ রূপান্তর অর্জনের জন্য বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নতুন রাউন্ডে আধিপত্য দখল করার মনোভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক দেশ ‘তিনটি নতুন পণ্য’, অর্থাত্ ফটোভোলটাইক পণ্য, বৈদ্যুতিক যান এবং লিথিয়াম ব্যাটারির ওপর তাদের শিল্প বিকাশের অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইনে’ নির্ধারিত ভর্তুকি আরোপের তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি ইইউ’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে ‘তিনটি নতুন পণ্যের’ ওপর ভর্তুকি বৃদ্ধি করছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় কমিশন ২০১৯ সালে ‘ইউরোপীয় গ্রিন নিউ ডিল’ প্রকাশ করার পরে, এটি সবুজ শক্তির রূপান্তরের দিকে মনোনিবেশ করতে শুরু করে এবং ‘তিনটি নতুন পণ্য’সহ নতুন শক্তি চালিত শিল্পের বিকাশকে জোরালোভাবে প্রচার করে। ২০২০ সালে ইউরোপীয় কমিশন ‘নতুন ইউরোপীয় শিল্প কৌশল’ প্রকাশ করেছে, এতে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে, কৌশলটি শিল্পের সবুজ রূপান্তরের জন্য বিনিয়োগ এবং অর্থায়ন সহায়তা প্রদান করবে। প্রকৃতপক্ষে, ই ইউতে ‘তিনটি নতুন পণ্য’সহ নতুন শক্তি শিল্পের বিকাশকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই নয়, বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিল্পগুলোর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ নেওয়া এবং বিশ্বে নেতৃত্বের মর্যাদা অর্জন করা, তাই এই প্রক্রিয়ায় বিপুল সংখ্যক শিল্প ভর্তুকির নীতি বাস্তবায়ন করেছে ইইউ।
(লিলি/হাশিম/রুবি)