আগস্ট ২০: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং গতকাল (সোমবার) বিকেলে বেইজিংয়ের তিয়াও ইয়ু থাই রাষ্ট্রীয় অতিথিভবনে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট তো লামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে লি ছিয়াং বলেন, চীন ও ভিয়েতনামের ‘কমরেড ও ভাই’-এর গভীর অনুভূতি রয়েছে, এবং চীন সবসময় কূটনীতিতে ভিয়েতনামকে অগ্রাধিকার দেয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রেসিডেন্ট তো লামের বৈঠকের পর চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছে, যা ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। চীন, ভিয়েতনামের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বজায় রাখা, কল্যাণমূলক সহযোগিতা জোরদার করা, দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন গভীরতর করতে চায়।
চীন ও ভিয়েতনামের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে লি ছিয়াং বলেন, দু’দেশের শিল্প খুব পরিপূরক এবং সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। চীন, ভিয়েতনামের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় জোরদার করবে, সংযোগের পর্যায় উন্নত করবে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাত্রা প্রসারিত করবে, কৃষি, অবকাঠামো, জ্বালানি, ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে, দু’দেশের সহযোগিতার মান উন্নত করবে।
আগামী বছর হল চীন ও ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। চীন ভিয়েতনামের সঙ্গে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংস্কৃতি, পর্যটন, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রের বিনিময় জোরদার করতে এবং দু’দেশের জনগণের বোঝাপড়া বাড়াতে চায়।
চীনা প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দু’দেশের উচিত জাতিসংঘ, আসিয়ান ইত্যাদি বহুপাক্ষিক কাঠামোতে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করা, সমান ও সুশৃঙ্খল বিশ্ব বহুমেরুকরণ ও সহনশীল বিশ্বায়নের প্রচার করা, এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা।
বৈঠকে তো লাম বলেন, কূটনীতিতে চীন সবসময় ভিয়েতনামের শীর্ষ অগ্রাধিকার। ভিয়েতনাম ‘এক-চীন নীতি’ দৃঢ়ভাবে মেনে চলবে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত বৈশ্বিক উদ্যোগগুলো সমর্থন করবে, চীনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ করবে, ভিয়েতনাম-চীনের অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে।
(তুহিনা/হাশিম/লিলি)