আগস্ট ১৯: চীনের ১ কোটি ৪০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীর দিবস আজ। ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছরের ১৯ আগস্ট চীনে স্বাস্থ্যকর্মী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এতে, প্রতিফলিত হয় যে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি স্বাস্থ্যসেবার কাজকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়; চিকিত্সাকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি দেয়।
চিকিত্সাকর্মীদের ব্যাপারে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বরাবরই যত্নশীল। চিকিত্সাকর্মীদের বেতন-ভাতা ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চীনের সরকার। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে, চীনে চিকিত্সাকর্মীদের কর্মদক্ষতা ও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে ও পাচ্ছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে, চীনের স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজারে পৌঁছায়, যার মধ্যে কর্মরত চিকিত্সক ও পেশাদার সহকারী চিকিত্সকের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৮০ হাজার এবং নিবন্ধিত নার্সের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩০ হাজার।
সি চিন পিং বলেন, চিকিত্সকরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বরাবরই চিকিত্সাকর্মীদের অনুপ্রাণিত করে আসছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য হচ্ছে সবার আগে, বাকি সবকিছুর অবস্থান এর পরে।
বর্তমানে চীনের কাউন্টি পর্যায়ের এলাকার ৯০ শতাংশ স্থানের নাগরিকরা সহজে ভালো চিকিত্সাসেবা পাচ্ছেন। এসব স্থানে শিশু যত্ন সেবা আসনের সংখ্যা ৪৮ লাখে পৌঁছেছে; ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিত্সা ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ক্রমবর্ধমান হারে চিকিত্সাসেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সংক্রামক রোগ এবং জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার জন্য অনলাইন সরাসরি রিপোর্টিং সিস্টেম ৮৪ লাখ চিকিত্সাকেন্দ্র ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কভার করছে। এ ছাড়া, ২০২৩ সালে চীনে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে কম। চীনের প্রধান স্বাস্থ্যসূচকগুলো মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ১০ বছরে চীনের জনগণের গড় আয়ু প্রায় ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আশা করি, নতুন যুগে চীনের স্বাস্থ্যসেবা খাতের অভাবনীয় উন্নতি ঘটবে এবং দেশের চিকিত্সাকর্মীরা জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নতুন নতুন অবদান রেখে যাবেন। (অনুপমা/আলিম/ওয়াং)