চীনা বাজারে আস্থা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের: সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন কি
2024-08-16 16:54:30

 

আগস্ট ১৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীন ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে আরও কিছু পণ্যে শূন্য শুল্ক চালু করার ফলে নিউজিল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা চীনে বিনিয়োগে আস্থা দেখিয়েছে। সম্প্রতি চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন কি।

 

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চীনের হাইনান মুক্ত বাণিজ্য বন্দরের সুবাদে দেশটির সঙ্গে আরও অনেক দেশের বাণিজ্য ও কর্মী বিনিময় বাড়বে।

 

২০০৮ সালের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করে চীন। যা ওই বছরের অক্টোবরে কার্যকর হয়েছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে দুই দেশ চুক্তিটি আপগ্রেড করার বিষয়ে তিন বছরের আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করে এবং একটি প্রোটোকল স্বাক্ষর করে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরও সহজ করতে এফটিএ আপগ্রেড করার সর্বশেষ প্রোটোকল এ বছরের এপ্রিলে কার্যকর হয়।

 

সাক্ষাৎকারে জন কি উল্লেখ করেন, চুক্তির এ নবায়নের ফলে নিউজিল্যান্ডের পণ্যগুলোর চীনা ভোক্তাদের আগ্রহ আরও বাড়বে এবং তারা এসব পণ্য আরও কম দামে পাবেন। চীনের বাজারের প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

 

২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জন কি। ওই সময় তিনি অনেক ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং চীন-নিউজিল্যান্ড বন্ধুত্ব শক্তিশালী করার পেছনেও অবদান রেখেছেন। জন কি এখনও নিউজিল্যান্ড ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যিক সহযোগিতকার সম্পর্কের প্রসারে কাজ করছেন।

 

তিনি উল্লেখ করেছেন, নিউজিল্যান্ডই প্রথম পশ্চিমা দেশ যারা চীনকে বাজার অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম উন্নত দেশ।

 

২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৩৩ কোটি ইউয়ান (প্রায় ৩২৬ কোটি ডলার)। এর মধ্যে ৯০৪ কোটি ইউয়ান এসেছে চীনা রপ্তানি পণ্য থেকে এবং এক হাজার ৪২৯ কোটি ইউয়ান এসেছে নিউজিল্যান্ডের রপ্তানি থেকে।

 

ফয়সল/শান্তা