চীনের ছাংপাইশান দর্শনীয় স্থান চিলিন প্রদেশে অবস্থিত, যা চীনে আল্পস পর্বতমালার মতো সুবিখ্যাত তুষারময় পাহাড়।
ছাংপাইশান দর্শনীয় স্থানে ৪২টি প্রাকৃতিক ঝরনা দেখা যায়। এখানকার বনাঞ্চল আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষ থেকে উৎপন্ন আদিম বন।আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষে আদিম গাছগুলোর শিকড় বেশি গভীরে যেতে পারেনি।
ছাংপাইশানের প্রাকৃতিক ঝরনার তাপমাত্রা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর গরম পানিতে ডিম আর ভুট্টাসহ বিভিন্ন খাবার সিদ্ধ করা যায়। এ পানিতে সিদ্ধ করা ডিমে অনেক খনিজ উপাদান থাকে, যা বেশ পুষ্টিকর।
ছাংপাইশান দর্শনীয় স্থানে একটি আশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। ঠাণ্ডা ঝরনা আর হট স্পিং একসাথে পাহাড়াঞ্চলের উচুঁ স্থান থেকে নিচে নেমে এসেছে।ঠাণ্ডা ঝরনার পানির তাপমাত্রা মাত্র ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালেও এ পানি বরফে পরিণত হয় না। শীতকালে অনেকে ছাংপাইশান এসে স্কি করেন। এখানকার তুষারের মান বেশ ভালো। প্রাকৃতিক তুষারের গড়পড়তা উচ্চতা ২ মিটার, যা স্কিয়িং ও স্নোবোর্ডিংয়ে আগ্রহীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।
ছাংপাইশান জলপ্রপাতের উচ্চতা ৬৮ মিটার। থিয়ানছি হ্রদের পানি, পাহাড়াঞ্চলে প্রায় হাজার মিটার প্রবাহের পর, এ জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।শীতকালে এ জলপ্রপাত বরফে পরিণত হয়। তাই, শুধু গ্রীষ্মকালে এর অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
জুলাই ও আগাস্ট মাসে ছাংপাইশান ভ্রমণের মৌসুম। তখন প্রতিদিন ১৫ হাজারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়। সাধারণত অনলাইনে এক সপ্তাহ আগে টিকিট বুকিং দিতে হয়।
ছোট বাসে চড়ে ছাংপাইশান পাহাড়ের শীর্ষস্থান থিয়ানছি হ্রদে যাওয়া যায়। থিয়ানছি হ্রদের আয়তন ৯.৮ বর্গমিলোমিটার। এর উচ্চতা ৩৭৩ মিটার। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরির হ্রদ। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২১৪৯ মিটার। স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের বলেন, থিয়ানছি হ্রদে সবসময় কুয়াশা থাকে, এর পুরো দৃশ্য দেখতে পাওয়া খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি, আপনারাও আমার মতো সৌভাগ্যবান হবেন!(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)