অগাস্ট ১৫: গতকাল (বুধবার) মিয়ানমারের নাইপিদো সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মিয়ানমারের জাতীয় শান্তি ও উন্নয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থান শুএ সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাত্কালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে থান বলেন, চীনের আকর্ষণীয় উন্নয়নের সাফল্যে তিনি আনন্দিত। দীর্ঘকাল ধরে মিয়ানমারকে আন্তরিক সমর্থন ও সহায়তার জন্য চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। চীন মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ভাই ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। দু’দেশ বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান করে, যা কখনও পরিবর্তন হবে না। মিয়ানমার বৈদেশিক শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং দেশের স্থিতিশীলতার রক্ষায় চীনের আন্তরিক সমর্থন প্রত্যাশা করে।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি’র পক্ষ থেকে থানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে জনাব ওয়াং ই তাঁকে চীনের পুরানো বন্ধু উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ধরে তিনি দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। চীন ও মিয়ানমারের মৈত্রী আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে সফলতা অর্জন করতে চায় চীন। আগের মতো ভবিষ্যতেও মিয়ানমারের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, একীকরণ ও ভূভাগের অখণ্ডতা সংরক্ষণে সহায়তা দেওয়া হবে, জাতীয় সংবিধানের কাঠামোতে রাজনৈতিক সমঝোতা বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন দেবে চীন। পাশাপাশি, কোনো বিদেশি শক্তির মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার প্রতিবাদ জানায় চীন এবং বরাবরই দেশটির আস্থাবান ও নির্ভরশীল বন্ধু হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বেইজিং।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/রুবি)