আগস্ট ১: তথাকথিত ‘ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না পলিসি’ (আইপিএসি) চরম চীন-বিরোধী ব্যক্তিদের গঠিত একটি গ্রুপ যারা তাইওয়ান-সম্পর্কিত ইস্যুতে ঝামেলা উস্কে দিতে এবং গুজব ও মিথ্যাচার প্রচার করতে অভ্যস্ত। এটি অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে, তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এক্ষেত্রে কোনও বাহ্যিক হস্তক্ষেপ সহ্য করা যায় না। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবটি সম্পূর্ণরূপে এক-চীন নীতিকে প্রতিফলিত করে এবং নিশ্চিত করে এবং এর কার্যকারিতাকে চ্যালেঞ্জ করা অগ্রহণযোগ্য। চীনের জাতীয় পরিষদের তাইওয়ান বিষয়ক মুখপাত্র ছেন পিন হুয়া গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর, একমাত্র চীন সরকারই সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র আইনি সরকার হয়ে ওঠে। এটি অবশ্যই স্বীকার্য চীন সম্পূর্ণরূপে তাইওয়ানসহ সারা চীনের সার্বভৌমত্ব উপভোগ করে এবং অনুশীলন করে। ১৯৭১ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৬তম অধিবেশন ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাব পাস করে, যা জাতিসংঘে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বৈধ আসন পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্তসূচক। এটি রাজনৈতিক, আইনগত এবং পদ্ধতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে সমাধান করেছে এবং এটি স্পষ্ট করেছে যে জাতিসংঘে চীনের একটি মাত্র আসন রয়েছে এবং ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন, এক তাইওয়ান’ বলে কিছু নেই।
(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)