জুলাই ২৯: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (সোমবার) বেইজিংয়ের মহাগণভবনে পূর্ব তিমুর প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, প্রেসিডেন্ট হোর্তা চীন-পূর্ব তিমুর বন্ধুত্বের প্রতিষ্ঠাতা। এবারের সফর হল পূর্ব তিমুর প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর, এর গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তাত্পর্য রয়েছে। চীন, পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা প্রথম দেশ, দু’দেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘকালের। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু’দেশ সবসময় পরস্পরের সঙ্গে আন্তরিক আচরণ করে, সম্মান করে ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে, তা হল অভিন্ন উন্নয়নের ভালো উদাহরণ।
দু’সপ্তাহ আগে সিপিসির ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন আরও সার্বিক ও গভীরতর সংস্কার করবে, উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ করবে, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দু’দেশের সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ ও চালিকাশক্তি দেবে। চীন পূর্ব তিমুরের সঙ্গে দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়।
সি চিন পিং বলেন, চীন ও পূর্ব তিমুর তিন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে। এ তিন লক্ষ্য হল: প্রথমত, দৃঢ়ভাবে পরস্পরকে সমর্থন করবে, আরও উচ্চমানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। দ্বিতীয়ত, দৃঢ়ভাবে উভয়ের জয়ের লক্ষ্যে কাজ করবে, আরও উচ্চমানের বাস্তব সহযোগিতা করবে। তৃতীয়ত, যৌথভাবে ‘গ্লোবাল সাউথের’ কাজ করবে, আরও বেশি উচ্চপর্যায়ের বহুপাক্ষিক সহযোগিতা করবে।
বৈঠকে হোর্তা বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি অনেক বার চীনে সফর করেছেন, স্বচোখে দেখেছেন চীনের অসাধারণ পরিবর্তন। প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে চীন সার্বিক দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন করেছে, যা মানবজাতির জন্য একটি অলৌকিক ঘটনা। অস্থির ও পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চীন দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’সহ ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক উদ্যোগ উত্থাপন করেছে, সৌদি আরব ও ইরান এবং ফিলিস্তিনের বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছে, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে চীনের দায়িত্ব ও প্রভাব প্রদর্শন করে।
দীর্ঘকাল ধরে পূর্ব তিমুরের প্রতি চীনের সমর্থনের জন্য হোর্তা কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি পূর্ব তিমুর-চীন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক সুসংহত করা, খাদ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামো ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করতে চান।
বৈঠকের পর দু’নেতা যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতা পরিকল্পনা, কৃষি, সবুজ উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি, বিমান পরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রের অনেক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ‘চীন ও পূর্ব তিমুর সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে দু’পক্ষ যৌথ বিবৃতি’ প্রকাশ করেছে।
(তুহিনা/হাশিম/স্বর্ণা)