সিনচিয়াংয়ে ৩৬ লাখ হেক্টর পাহাড় ও জলাশয় সংরক্ষণ
2024-07-29 14:34:34

২০২১ সালে আকসু নদী অববাহিকা পাহাড় ও পানি প্রকল্প, চীনের প্রথম দফা পাহাড়, পানি, বন, চাষের জমি, হ্রদ, তৃণভূমি ও মরুভূমির সমন্বিত সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নামতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।  

আকসু এলাকা সামাজিক অর্থ সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার করে। এলাকাটি পরিবেশ+পর্যটন ফর্মুলায় সবুজ উন্নয়নের পদ্ধতি গড়ে তুলেছে।

সম্প্রতি আকসু এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বনকর্মী তাইলাইটি তাওয়াইকুলি আবিষ্কার করেন যে, আকসু নদীর দু’তীরের আগের অগোছালো গর্তগুলো ভরাট হয়েছে, নদীর জল পরিষ্কার হয়েছে, তীরের ঢালগুলো সুন্দর হয়েছে, বর্জ্যের গর্তগুলো সমতল হয়েছে, এবং অনুর্বর ঢালগুলো সবুজ হয়ে উঠেছে। তিনি মোবাইলফোনে এসব দৃশ্যের ছবি তোলেন।

তাইলাইটি মনে করেন, তাঁর জীবনে সবচেয়ে গর্বের কাজ হলো কেকেইয়া সবুজায়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করা। প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘের পরিবেশগত সম্পদ সুরক্ষা কমিটির ‘বিশ্বের ৫০০ সেরা স্থান’ শীর্ষক তালিকায় স্থান পায়।

তাকলিমাকান মরুভূমির উত্তর প্রান্তে, চীনের দীর্ঘতম অভ্যন্তরীণ নদী ও বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নদী তারিম, পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক নদীর মিলনে তারিম নদীর উত্পত্তি। থিয়ানশান পর্বতমালার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্পন্ন হয়েছে এটি। ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ আকসু নদী হলো তারিম নদীর উপরের অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্সনদী। তারিম নদীর উপরের অংশে তিনটি উত্স প্রবাহ থেকে আসে পানির ৭০ শতাংশেরও বেশি।

আকসু নদী তারিম নদীর মূল স্রোতে পানি সরবরাহ নিরাপত্তা, পরিবেশগত নিরাপত্তা, পরিবেশগত পরিবেশের বিবর্তন, এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আকসু নদী অববাহিকা উত্তরের বালি নিয়ন্ত্রণ বেল্টের দুটি প্রধান পরিবেশগত সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের সাথে জড়িত একটি এলাকা। সমগ্র নদী অববাহিকার সামগ্রিক ও পদ্ধতিগত পরিবেশগত সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধার নিঃসন্দেহে প্রাকৃতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে ও তারিম নদীর উপরের অংশের পরিবেশগত ভিত্তি প্রবাহ নিশ্চিত করতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে আকসু নদীর অববাহিকায় বালুঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘন ঘন ঘটছিল। তখন থেকে আকসু এলাকা সমগ্র সমাজের শক্তিকে সংগঠিত করে জল সরানোর জন্য খাল, রাস্তার নেটওয়ার্ক ও আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক বনচাষ শুরু করে। বর্তমানে বালুকাময় মরুভূমিটি রীতিমতো মরুদ্যানে পরিণত হয়েছে।

আকসু এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যুরোর প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশগত পুনরুদ্ধার বিভাগের পরিচালক ওয়াং হাই তং বলেন, আকসু নদীর পাহাড় ও পানি পরিকল্পনায় আকসু শহর, ওয়েনসু জেলা, আওয়াতি জেলা, উশ জেলা এবং সিনচিয়াং উত্পাদন ও নির্মাণ সামরিক দলের প্রথম বিভাগের আলার শহর অন্তর্ভুক্ত আছে। মোট আয়তন ৩৬.০২৩ হেক্টর। এতে ৩৫টি উপ-প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে আছে: মরূদ্যানের পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; নদী অববাহিকার জলের বাস্তুসংস্থান রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করা; বনের পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা; ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ২০২১ সালে শুররু হয় এবং তিন বছরের মধ্যে হয়। বর্তমানে আকসু এলাকার ১১টি সড়ক, ৫১টি থানা ও একটি গোষ্ঠী’র বিভিন্ন জাতির নাগরিক বাস্তব পরিবেশগত লভ্যাংশ লাভ করছেন। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)