চীনের সাফল্যে মুগ্ধ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই: সিএমজিকে একান্ত সাক্ষাত্কার
2024-07-28 16:54:44

জুলাই ২৮: পাঁচ বছর পর ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই সম্প্রতি আবার চীন সফর করেছেন। সিএমজিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, চীনের অর্জিত সাফল্যে দারুণ মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। চীনের কাছ থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করার অভিজ্ঞতা শিখতে চান বলে জানান তিনি। ভানুয়াতুকে বন্ধু ও ভাই হিসেবে বিবেচনা করায় চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন সালওয়াই । ভবিষ্যতে দু’দেশের সহযোগিতা আরো জোরদার হবে এবং অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নিজের দ্বিতীয় চীন সফর প্রসঙ্গে সালওয়াই বলেন, চীনে বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে, বিশেষ করে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। সংস্কৃতি রক্ষা ও বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে চীনের অর্জিত সাফল্য দারুণ চিত্তাকর্ষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কৃতি রক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে চীন সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় সাফল্য সহজে পাওয়া যায় না। এর জন্য চীন সরকার ও জনগণ অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

বাস্তুতন্ত্র বজায় রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি চ্যালেঞ্জ। তাই তিনি মনে করেন, ভানুয়াতুর মতো একটি ছোট দেশের জন্য এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “ভানুয়াতুকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমরা আসলে শুরুতে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি, কারণ আমাদের মতে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা দরকার। প্রথমটি হল শিক্ষা এবং চিকিৎসাসহ সামাজিক ক্ষেত্র। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, জনগণের মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা আছে, শুধু ন্যূনতম মান নয়। জনসাধারণের রাস্তা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ এবং জলসহ নানা পরিষেবা এবং অবকাঠামো প্রয়োজন। আমরা চীনের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। চীন শুধু দ্বীপে ডক এবং রাস্তা নির্মাণে আমাদের সাহায্য করেনি, বরং দুর্যোগের সময় আমাদের সহায়তা করেছে, আমাদের স্কুল ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। ভানুয়াতু এবং চীন উন্নয়ন সহযোগী এবং চীনের প্রয়োজন হলে আমরা প্রতিদান দেবো।”

প্রেসিডেন্ট সি প্রসঙ্গে সালওয়াই বলেন, তিনি একজন মহান নেতা। চীন একটি মহান দেশ এবং এর জনসংখ্যা বেশি। চীন  শুধু জলবায়ুর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন ও সংশ্লিষ্ট নীতি প্রণয়নেই অবদান রাখে না, বরং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, নিরাপত্তার উদ্যোগ এবং সভ্যতা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে একটি হল জলবায়ুর পরিবর্তন। আমরা সকলেই জানি যে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোকে কত ভয়াবহভাবে প্রভাবিত করবে। আমরা ভুক্তভোগী এবং আমাদের প্রতিটি দেশ কীভাবে নীল মহাসাগরকে রক্ষা করা যায়, কীভাবে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় এবং কীভাবে প্রতিদিন জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ ধরে রাখা যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। চীনের সাথে সহযোগিতা করে এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমরা এমন দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চাই যারা আমাদের কথা শোনে। চীন আমাদের কথা শুনছে, তাই আমি চীনের সাথে যোগাযোগ করতে এসেছি।”

(লিলি/হাশিম/তুহিনা)