সিয়ে থিংফেং ১৯৮০ সালের ২৯ আগস্টে চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। কুয়াংতোং প্রদেশের ফানইয়ু শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। তিনি চীনা ভাষা পপসংগীত মহলের একজন গায়ক, অভিনেতা, সংগীত নির্মাতা, প্রযোজক, উপস্থাপক এবং যুব-শিল্পপতি।
সিয়ে থিংফেং হংকংয়ের একটি শিল্পী-পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন বিখ্যাত শিল্পী এবং মা ১৯৭০-এর দশকে প্রথম মিস হংকং চ্যাম্পিয়ন। ১৯৯৪ সালে ১৪ বছর বয়সী সিয়ে সংগীত, গিটার ও ড্রাম বাজানো ভালোবেসেছেন এবং সংগীত শিখতে শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে সংগীত উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি জাপানের টোকিও কলেজ অফ মিউজিকে যান। সে বছর ১৫ বছর বয়সী সিয়ে তাঁর প্রথম গান ‘ভুল বিচার’ সৃষ্টি করেন। গানটি পরে তাঁর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত Believe ‘বিলিভ’ নামে অ্যালবামে রাখা হয়।
‘বিলিভ’, সিয়ে থিংফেংয়ের ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিলে প্রকাশিত অ্যালবাম। এতে মোট ১০টি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যালবামটি বেশ সাড়া ফেলে। এতে সিয়ে থিংফেংয়ের নিজের সৃষ্ট দু’টো গান রয়েছে। আপনাদের কিছুক্ষণ আগে যে গানটি শুনেছেন, তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ‘আমি উড়তে চাই’ নামে গানও আছে। সিয়ে থিংফেংয়ের নিজের কথা অনুযায়ী, ‘আমি উড়তে চাই’ হলো অ্যালবামে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের গান। জীবনের দুঃখ ও অসহায়ত্বে রুদ্ধবাক অবস্থা ও বিষণ্নতা থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হয়ে শেষে দৃঢ়তায় পৌঁছার কথা বলা হয়েছে গানটিতে।
১৯৯৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিয়ে থিংফেং আনুষ্ঠানিকভাবে ফিট্টো রেকর্ড কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে শোবিজ জগতে পা রাখেন। ১৯৯৭ সালের ১৬ মে তিনি প্রথম ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম ‘মাই অ্যাটিটিউট’ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে দু’টো প্রধান গান হংকংয়ের বিভিন্ন পপ চার্টে স্থান পায় এবং জেড সলিড গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস প্রেজেন্টেশনে নির্বাচিত হয়। অ্যালবামটি দিয়ে সিয়ে থিংফেং সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রতিভার স্বর্ণ পুরস্কার এবং সেরা জনপ্রিয় নতুন শিল্পী স্বর্ণ পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জেতেন। একই বছরের ডিসেম্বরে তিনি ‘নীরব যেন শব্দ দিয়ে’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি তাঁর ‘মাই অ্যাটিটিউট’ অ্যালবামে রাখা ‘খারাপ অভ্যাস’ নামে গানটি আপনাদের শোনাব। সঙ্গে সঙ্গে শোনাই ‘নীরব যেন শব্দ দিয়ে’ নামে অ্যালবামের শিরো নাম গান, কেমন?
১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে সিয়ে থিংফেং তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম ‘হোরাইজনস’ রাখার কিছু বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। কারণ এখানকার তিনটি গান তাঁর অভিনয় করা প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য রচিত হয়। অ্যালবামে রাখা ‘যদি শুধু এক সপ্তাহ পায়’ গানটির ম্যান্ডারিন সংস্করণ আসলে আরো জনপ্রিয় হয়। গানটি চীনের সিসিটিভি’র বসন্ত উত্সব গালায় পরিবেশন করেছেন তিনি। সেটি ‘যদি শুধু এক সপ্তাহ পায়’ গানটির সংগীত ব্যবহার করে, ম্যান্ডারিন লিরিক্স দেওয়া হয়। প্রেমের গান হিসেবে তাঁর গাওয়া এ গানটি খুব উষ্ণ ও সূক্ষ্ম।
“তোমার ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ ১৯৯৯” হলো সিয়ে থিংফেংয়ের প্রথম ম্যান্ডারিন অ্যালবাম। এটি ১৯৯৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়। এটি সিয়ে থিংফেংয়ের ‘সিগনেচার অ্যালবাম’। ১২টি গানের মধ্যে অধিকাংশই খুব জনপ্রিয়। শুধু তাইওয়ান অঞ্চলে অ্যালবামের বিক্রয় পরিমাণ ছিল ৩.৩ লাখ। মোট পরিমাণ মিলিয়নের বেশি ছিল। অ্যালবামটি যথাক্রমে চীনা ভাষা ও সংগীত মহলে সিয়ে থিংফেংয়ের দৃঢ়ভিত্তি স্থাপন করে।
সিয়ে থিংফেংয়ের আরেকটি গান দিয়ে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানটি শেষ করছি। গানের নাম ‘জেড প্রজাপতি’।
(প্রেমা/হাশিম)