সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন ‘তোমার জন্য গান’; আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা।
(গান ১)
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন চীনের একজন প্রবীণ কন্ঠশিল্পী লিউ পিনের কন্ঠে ‘জন্মস্থানের কণ্ঠ ও আবেগ’ শীর্ষক গান। আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি লিউ পিনের পরিচয় দিবো। তিনি ১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে লিয়াওনিং প্রদেশের চিনচৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা, বিখ্যাত সেনা সংগীতজ্ঞ এবং ডেপুটি কর্পস কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন বেইজিং সামরিক অঞ্চলের রাজনৈতিক বিভাগের সেনা শিল্প ও সংস্কৃতি গ্রুপের প্রধান। ১৯৮৪ সালে তিনি বেইজিং সামরিক অঞ্চলের সেনা গান ও নাচ গ্রুপের একজন হিসেবে বেইজিং অপেরা অভিনয় শুরু করেন। তিনি ১৩ বার জাতীয় ভোকাল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘সৈনিকগণ’ শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ২)
বন্ধুরা, শুনছিলেন লিউ পিনের কন্ঠে ‘সৈনিকগণ’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদের সামনে আরেকজন সেনা কন্ঠশিল্পী লিউ হ্যে কাংয়ের পরিচয় তুলে ধরবো। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৬ নভেম্বর হেইলংচিয়াং প্রদেশের ছিছিহার শহরের পাইছুয়ান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা ও যুব কন্ঠশিল্পী। তিনি হেইলংচিয়াং শিল্প বিদ্যালয় ও গণমুক্তি ফৌজ শিল্প একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন। ২০০১ সালে তিনি বিমান বাহিনীর নাচ ও গান গ্রুপে যোগ দেন। ২০০৬ সালে তিনি টেলিভিশন যুব কন্ঠশিল্পী প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘বেইজিং তোমাকে স্বাগত জানায়’ শীর্ষক গান শোনাবো। গানটি ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক গেমসের একটি গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ৩)
বন্ধুরা, শুনছিলেন লিউ হ্যে কাংয়ের কন্ঠে ‘বেইজিং তোমাকে স্বাগত জানায়’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে প্রবীণ কন্ঠশিল্পী ল্যু ওয়েন ক্যে’র কন্ঠে গান শোনাবো। তিনি হ্যেপেই প্রদেশের চিংস্যিং জেলার নানলুচুয়াং গ্রামের মানুষ। তিনি ছোটবেলা থেকে জন্মস্থানের স্থানীয় অপেরা শুনতে পছন্দ করতেন। ১৯৩৬ সালে তিনি পরিবারের সঙ্গে শানসি প্রদেশের ইয়াংছুয়ান শহরে স্থানান্তরিত হন। ১৯৪৪ সালে তিনি শিচিয়াচুয়াংয়ে ফিরে গিয়ে রেলপথের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি শিচিয়াচুয়াং শহরের শিল্প ও সংস্কৃতি গ্রুপে যোগ দেন। তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘উঁচু স্যিংআনলিং পাহাড়ে উঠবো’ শীর্ষক গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ৪)
বন্ধুরা, শুনছিলেন ল্যু ওয়েন ক্যে’র কন্ঠে ‘উঁচু স্যিংআনলিং পাহাড়ে উঠবো’ শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদের সামনে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার একজন কন্ঠশিল্পীর পরিচয় তুলে ধরবো। তিনি হলেন মাসি। তিনি ১৯৬৮ সালে ‘গানের সমুদ্র ও নাচের থানা’ বলে পরিচিত এরদোস মালভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন। মাসি’র সংগীতে মোঙ্গলীয় জাতির ঐতিহ্যগত লোকসংগীতের বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, পপ সংগীতের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তিনি চীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে গান শোনাবো; আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ৫)
বন্ধুরা, শুনছিলেন মাসি’র কন্ঠে গান। এখন আমি আপনাদেরকে কন্ঠশিল্পী ফাং ইয়ান’র কন্ঠে ‘বসন্তের সকাল’ শীর্ষক গান শোনাবো। তিনি হলেন চীনের প্রথম প্রবীণ শিল্পী যিনি কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি হলেন লিয়াওনিং প্রদেশের থিয়েলিংয়ের মানুষ। তিনি তাঁর পিতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ছোটবেলা থেকেই সংগীত শিখতে শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি বেইজিংয়ে এসে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ‘বসন্তের সকাল’ শীর্ষক গানের কথা চীনের থাং রাজবংশ আমলের বিখ্যাত কবি মেং হাও রানেরর লেখা। চীনা ভাষায় গানের শিরোনাম ‘ছুনস্যিয়াও’। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
(গান ৬)
প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)