জুলাই ১২: কলকাতায় চীনা কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই ১১ থেকে ১২ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর চীনাভবন পরিদর্শন করেন। কনসাল জাং জি জুংসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সাথে ছিলেন।
কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মুন্ডা এবং চীনাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অভিজিত ব্যানার্জীর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠককালে তিনি চীনাভবনের কার্যক্রম ও উন্নয়ন সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং চীন ও ভারতের মধ্যে শিক্ষা বিনিময় ও সহযোগিতার প্রচার ও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
চীনাভবনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার সময়ে, কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই চীনের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সাফল্য এবং চীন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, চীন-ভারত মৈত্রী সুদীর্ঘ দিনের। কনসাল জেনারেল বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিত্বের সাথে দু’দেশের মধ্যে বেসরকারি বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান জোরদার করতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি চীন ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের উন্নয়নের তারুণ্যের শক্তি হয়ে উঠার জন্য, শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা ও চীনা সংস্কৃতি শেখার উৎসাহ দেন।
চীনাভবনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই এবং তার প্রতিনিধিদলকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানায়। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও নৃত্য, চীনা শাস্ত্রীয় নৃত্য ও কাগজ কাটা ক্যালিগ্রাফি পরিবেশন করে।
তারা চীনা ভাষায় ‘আগামীকাল আরও ভাল হবে’ গান গায় এবং ‘ড্রাগন ও হাতির যূথবদ্ধ-নৃত্য’ ধারণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বন্ধুত্বের সন্ধানে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তারপর কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই বৃষ্টির মধ্যে শান্তিনিকেতনের কাছে উপজাতীয় গ্রামে স্থানীয় দাতব্য সংস্থা ‘বি অ্যান্ড মেক’ স্থাপিত পাঠদান কেন্দ্রে যান।
তিনি সংস্থাকে কিছু অনুদান দেন এবং বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য কাগজকলম হস্তান্তর করেন। স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক এবং শিশুরা আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার সাথে কবিতা আবৃত্তি, লোকগান এবং নৃত্য পরিবেশন করে এবং কনসাল জেনারেল সুই ওয়েইকে একসাথে নারকেল গাছ লাগানোর আমন্ত্রণ জানায়।
(স্বর্ণা/হাশিম)