বর্তমানে চীনের অনেক জায়ান্ট পান্ডা সাইবারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। গত ৪ জুন সবেমাত্র পালিত হয়েছে শীর্ষ জনপ্রিয় ৩টি জায়ান্ট পান্ডার জন্মদিন।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সি ছুয়ান প্রদেশে অবস্থিত দেশের জায়ান্ট পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। এ কেন্দ্র প্রকৃতিতে পান্ডা ফেরানোর দায়িত্ব পালন করে। লালনকারীদের মনোযোগ দিয়ে পান্ডা যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের আড়ালে রাখতে হয়। তারা পান্ডার কাপড় পরে পান্ডার মতো ভান করে থাকেন। কাপড়ে পান্ডার মল এবং নিঃসরণ মাখা হয়, যাতে মানুষের গন্ধ পাওয়া না যায়। এভাবে মানুষের সঙ্গে পান্ডার স্পর্শ রোধ করা হয়। ফলে পান্ডাকে প্রকৃত চরিত্র ফেরানো যায় এবং এটি তাদের প্রকৃতিতে ফেরাতে সাহায্য করে।
পান্ডার কাপড় পরে পান্ডা সাজা অন্যদের কাছে খুব মজার এবং সহজ কাজ হতে পারে। তবে গবেষকের জন্য প্রকৃতিতে পান্ডা ফেরানো সহজ কাজ নয়। এমনকি তারা ঝুঁকিতেও পড়তে পারেন। নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে চীনের পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী চাং হ্য মিন বলেছেন, “একবার পান্ডাকে প্রকৃতি ফেরাতে প্রশিক্ষণের সময় যখন পান্ডা কাপড় পরা আমি সংশ্লিষ্ট কাজ পর্যবেক্ষণ করছিলাম, তখন একটি বাচ্চা পান্ডা আমার পায়ে কামড় দেয়। পান্ডার চোখে এ কামড় দেওয়া কেবল খেলার মতো হতে পারে। তবে মানুষের জন্য তার কামড় মেরু ভল্লুকের মতো সমান, যা সহ্য করতে পারে না মানুষ।” তার মাথায় আঘাত করতে চায় না বলে চাং হ্য মিন নিজের হাত দিয়ে বাচ্চা পান্ডার মুখ খুলে দেন। পরে তিন মাস ধরে হাস্পাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন চাং হ্য মিন।
এ কাজ খুব কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ তবে পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের লালনকারীদের চোখে এটি আনন্দের ব্যাপারও বটে। কারণ কেবল বন্য চেহারা দেখালে পান্ডাকে প্রকৃতিতে ফেরানোর প্রশিক্ষণ সফল বলে ধরে নেয়া যায়।
এ পর্যন্ত চীনের জায়ান্ট পান্ডা সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের হ্য থাও পিং ঘাটিতে ১১টি পান্ডার প্রকৃতিতে ফেরানোর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি পান্ডা সফলভাবে বন্য পান্ডাদের সঙ্গে মিশে গেছে। এটি গৃহপালিত পান্ডার বন্যপ্রাণী হয়ে বাঁচা ও প্রজনন এবং প্রাণী বৈচিত্র্য বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।