চীনের ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে নতুন পদ্ধতি
2024-07-08 15:42:18

 গত কয়েক বছরে চীনে কারিগরি শিক্ষা অনেক উন্নত হয়েছে। চীনের বিভিন্ন শহরের মধ্যে ছিংতাও শহরে সবচেয়ে আগে কারিগরি শিক্ষার পরীক্ষামূলক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। শহরে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি স্কুলের সংখ্যা ৫১টি এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। আর শহরে কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের  সংখ্যা ১১টি একং মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার।

২০১৯ সালে ছিংতাও শহরে শিল্প ও কারিগরি শিক্ষার সংমিশ্রণের পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে, শহরের শিল্প ও কারিগরি শিক্ষার মধ্যে গভীর সংমিশ্রণ বাস্তবায়িত হয়েছে। আর এর মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা এবং আঞ্চলিক আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের নতুন পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায়, স্থানীয় সমাজ ও অর্থনীতির চাহিদা বিবেচনা করে, ছিংতাও শহরের জন্য বিশেষ প্রস্তাব পেশ করা হয়। এ প্রস্তাবে ধারাবাহিক সুবিধাজনক নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কারিগরি স্কুল নির্মাণব্যবস্থার সংস্কার, সরকারের উদ্যোগে কারিগরি স্কুল নির্মাণব্যবস্থার সংস্কার, কারিগরি স্কুলের নির্মাণকাজে অংশগ্রহণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কর রেয়াত দেওয়া, ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট কারিগরি শিল্পের উন্নয়ন ও শিক্ষাদানের সংমিশ্রণে ধারাবাহিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্থানীয় পৌর সরকার। যেমন, হায়ার গ্রুপে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে, স্কুলের পড়াশোনা, প্র্রশিক্ষণ কোর্স, কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি, এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানসহ দীর্ঘকালীন উন্নয়নের পদ্ধতি চালু হয়। ছিংতাও মিংইউয়ে সামুদ্রিক শৈবাল গ্রুপ লিমিডেট কোম্পানি এবং ছিংতাও কারিগরি প্রযুক্তি একাডেমি, চিনান বিশ্ববিদ্যালয় আর তংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতা করে, প্রায় ৫০ জন পেশাদার কারিগরি প্রশিক্ষককে আমন্ত্রণ জানায়। তাদের সাহায্যে ‘উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা, কারিগরি দক্ষতার প্রশিক্ষণ, আর সামাজিক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক নতুন পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

কারিগরি শিক্ষা খাতে বরাদ্দও বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সাল থেকে ছিংতাও শহরে মোট ২৯৫ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দিয়ে, ছিংতাও কারিগরি প্রযুক্তি একাডেমি, ছিংতাও কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকদের কারিগরি স্কুলসহ মোট ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নত করা হয়।

গত কয়েক বছরে, চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে, আধুনিক কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও ২৮ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ পায় ছিংতাও শহর। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে স্থানীয় অঞ্চলের কারিগরি স্কুলের বিভিন্ন কর্মদক্ষতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যয় বহন করা হয়। এভাবে বিভিন্ন কারিগরি স্কুলের শিক্ষার মান ও ব্যবস্থা উন্নত করা হয় এবং কারিগরি শিক্ষার আওতায় আরও ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে আনা সম্ভব হয়।

বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি দক্ষ প্রযুক্তিবিদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাদের আরও বেশি ভুমিকা পালন এবং দক্ষ ব্যক্তি গড়ে তোলার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সংস্কার কার্যক্রম চালু হয়েছে ছিংতাই শহরে। যেমন, কারিগরি খাতের কর্মীদের প্রশিক্ষণে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে—এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর কমিয়ে দেওয়া বা বাতিল করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি ইউয়ান কর রেয়াত পেয়েছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো, যা উত্সাহব্যঞ্জক।

এ পর্যন্ত ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোম্পানি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৬টিতে দাঁড়িয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা দেড় লাখে পৌঁছেছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মোট উত্পাদন ৭০০ বিলিয়ন ইউয়ান।

বস্তুত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে, বিভিন্ন শিল্প প্রযুক্তিগত সংস্কারের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। তখন দক্ষ প্রযুক্তিবিদের অভাব দেখা দেয়। তাই, এমন সমস্যার সমাধানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বেশ জরুরি ও প্রয়োজনীয়। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে চিয়াওচৌ শহরের কারিগরি শিক্ষার কেন্দ্রীয় স্কুল এবং ছিংতাও হায়ার এসি লিমিটেড কোম্পানির যৌথ প্রয়াসে, একটি স্মার্ট প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের একাডেমি গড়ে ওঠে। সেখানে চীনের মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষা ও পেশাদার কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বিবেচনায় রেখে, নতুন ধরনের দক্ষ প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। ৩ বছরেরও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায়, হায়ার গ্রুপের সাথে সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা  বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

তা ছাড়া, প্রতিবছর ছিংতাও শহরের পৌর সরকার প্রায় ১ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করে। এমন পরীক্ষামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। তাঁরা উন্নত প্রযুক্তি শিখে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।

ছিংতাও শহরে কারিগরি শিক্ষা উদ্যানের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছে। যেমন, শহরাঞ্চলে পরিবহন ও যাতায়াত, বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়াকরণ, বিদ্যুত্ ও তথ্য খাতের উদ্যান নির্মিত হয়েছে। এর আশেপাশে নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি উদ্যানও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।

 

বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে চেয়ার বা টেবিলের  সাইজ ঠিক করা

বর্তমানে চীনা বাচ্চাদের উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে। অনেক স্কুলে দেখা যায়, টেবিল ও চেয়ারের সাইজ প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। কোনো কোনো বাচ্চা সেই টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করে আরাম পায় না। আর, সঠিকভাবে বসতে না-পারলে বা বসার ভঙ্গি ঠিক না-থাকলে, বাচ্চাদের মেরুদণ্ড ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চীনের বিভিন্ন এলাকার বাবা-মায়েরা এ ব্যাপারে প্রকাশ করেছেন তাদের উদ্বেগ।

চীনের শানসি প্রদেশের এটি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রের বাবা সংবাদদাতাকে বলেন, তিনি একদিন স্কুলে অভিভাবকদের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উচ্চতা প্রায় ১.৮ মিটার। ছেলের জন্য নির্ধারিত চেয়ারে বসে তিনি আরামবোধ করেননি, বরং কষ্ট পেয়েছেন। শ্রেণীকক্ষও ছিল যথেষ্ট ছোট। এ সম্পর্কে এ বাবা বলেন, “আমার উচ্চতা বেশি নয়। এখন স্কুলের অনেক ছেলে আমার চেয়ে বেশি লম্বা। যদি তাঁরা সারাদিন এ ছোট চেয়ার ও টেবিলে বসে ক্লাস করে, তাহলে সেটা তাদের জন্য কষ্টকর হবে নিঃসন্দেহে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা তাদের এভাবে বসে থাকতে হয়।”

বস্তুত, এখন চীনের অনেক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলে চেয়ার ও টেবিলের সাইজ ছাত্রছাত্রীদের উচ্চতার সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। কুয়াংতং প্রদেশের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক লিয়াং বলেন, স্কুলের উচ্চবিদ্যালয়ে ৩টি শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের টেবিল ও চেয়ার একই সাইজের; টেবিলের উচ্চতা প্রায় ০.৮ মিটার, যা উঁচু করার ব্যবস্থা নেই। অথচ স্কুলের উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রের উচ্চতা ১.৯ মিটার। তার জন্য এ টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করা কষ্টকর। বিশেষ করে, উচ্চবিদ্যালয়ের পড়াশোনার চাপ বেশি। সাধারণত, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে থাকতে হয়। এমন অবস্থায় তাদের মেরুদণ্ড ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অনেক এলাকার স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেবিল ও চেয়ারের আকার ও উচ্চতা সমন্বয় করা হয়েছে। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের কাজটি যথাযথভাবে হয়নি। যেমন, প্রাথমিক স্কুলের ৬টি শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা একই ধরনের টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করে। শুধু প্রতি সেমিস্টারে একবার সমন্বয় করা হয় এবং আলাদাভাবে কোনো ছাত্রছাত্রীর জন্য বিশেষ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেই।

টেবিল ও চেয়ারের উচ্চতা ছাড়া, টেবিলে ব্যাগ রাখার খোপও কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীর জন্য বিরক্তিকর। যেমন, বেইজিং তুংছেং এলাকার একজন গবেষক ছেন চং লিং বলেন, টেবিলের ব্যাগ রাখার খোপ বেশ ছোট, ফলে ছাত্রছাত্রীরা ব্যাগ ভিতরে রাখতে পারে না, তাঁরা ব্যাগ চেয়ারের পিছনে রাখে, ফলে সোজা হয়ে বসতে পারে না। টেবিলের নিচের জায়গাও যথেষ্ঠ নয়। পা ঠিকমতো রাখা মুশকিল। দীর্ঘকাল ধরে এ ধরনের চেয়ার-টেবিল ব্যবহার শিক্ষার্থীদের শরীরের ক্ষতি করছে।

বেইজিং সিডিসি স্কুলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান কুও সিন বলেন, স্কুলের টেবিল ও চেয়ারের সাইজ বাচ্চাদের উচ্চতার সাথে মানানসই কি না, তার কিছু মানদণ্ড আছে। সে অনুসারে টেবিল-চেয়ার সমন্বয় করা উচিত।

২০১৪ সালে চীনে ‘স্কুলের চেয়ার ও টেবিলের ভুমিকা ও আকারের মানদন্ড’ চালু হয়। এতে মোট ১১ ধরনের চেয়ার ও টেবিল এবং উপযোগী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চতার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে চীনের কিছু কিছু এলাকার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের নমুনা জরিপ থেকে জানা গেছে, প্রায় ২০ শতাংশ স্কুলে চেয়ার ও টেবিলের আকার ঠিক নয়।

এ সম্পর্কে ডাক্তারা বলেন, টেবিল বা চেয়ার বেশি উঁচু বা বেশি নিচু হলে তা ছাত্রছাত্রীদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে মায়োপিয়া, স্কোলিওসিস ও কুঁজোসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২১ সালে প্রকাশিত দেশের ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও শরীর জরিপ থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের তুলনায় ৭ বছর থেকে ২২ বছরের মধ্যে ছেলেমেয়েদের উচ্চতা ০.৫২ সেন্টিমিটার থেকে ১.৬৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

শেনচেন শহরে ২০১৯ সালের জরিপ থেকে জানা গেছে, স্থানীয় অঞ্চলের মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের গড় উচ্চতা ১.৯ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সাইজের টেবিল ও চেয়ারও যথেষ্ট নয়।

শিক্ষামহলের ব্যক্তিরা বলছেন, যদিও চীন সরকার সংশ্লিষ্ট টেবিল ও চেয়ারের মানদন্ড ঠিক করেছে, তবে অনেক স্কুলে বাজেটের অভাবের কারণে পুরনো টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করা হয়। একটি টেবিল ও চেয়ার নির্মাণ কোম্পানির প্রধান বলেন, স্কুলগুলো স্থির টেবিল ও চেয়ার বেশ পছন্দ করে, কারণ এমন টেবিল ও চেয়ারের মান বেশ ভালো আর দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহার করা যায়। তবে, ছোট-বড় করা যায়—এমন টেবিল ও চেয়ারের দাম বেশি। ফুচৌ শহরের কুলৌ প্রাথমিক স্কুল গত বছর ১৬৫ সেট সমন্বয়ী টেবিল ও চেয়ার কিনেছে, মোট ৮২ হাজার ১৭০ ইউয়ান খরচ করে। প্রতি সেট প্রায় ৫০০ ইউয়ান। সেটি স্থির টেবিল ও চেয়ারের চেয়ে অনেক দামী।

স্কুলের টেবিল ও চেয়ার বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত বিষয়। তাই চেয়ার ও টেবিলের আকার আরও উপযোগী করা ও বাচ্চাদের জন্য আরামদায়ক পড়াশোনার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রয়াস দরকার। এ প্রেক্ষাপটে চীনের বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যেমন, ছাত্রছাত্রীদের গড় উচ্চতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার বাস্তবতা  বিবেচনায় রেখে, নতুন টেবিল ও চেয়ার কেনার সময় বড় সাইজ বেছে নেওয়া হচ্ছে। যাদের শরীরের উচ্চতা বা ওজন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে বেশি, তাদের জন্য বিশেষ সাইজের চেয়ার ও টেবিলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে কোথাও কোথাও।

(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)