জুলাই ৮: চীনের ন্যাশনাল কম্পিউটার ভাইরাস ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টার, ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি অফ কম্পিউটার ভাইরাস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল টেকনোলজি এবং ৩৬০ ডিজিটাল সিকিউরিটি গ্রুপ যৌথভাবে ১৫ এপ্রিল একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উৎপত্তির একটি ট্রেসেবিলিটি বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছে। তথাকথিত ‘ভোল্ট টাইফুন’ সংস্থার প্রচার, এই সংস্থার র‍্যানসমওয়্যার অপরাধী চক্রের আসল চেহারা এবং চীনকে হাইপ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটি ব্যবহার করার পিছনের সত্যতা প্রকাশ করেছে।

অপারেশন ‘ভোল্ট টাইফুন’ ছিল মার্কিন কংগ্রেসের চীন-বিরোধী সদস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক ফেডারেল সরকারের প্রশাসনিক ইউনিট এবং জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পর্দার আড়ালে পরিকল্পিত একটি অপপ্রচার এবং জনমতের কারসাজির অপারেশন। ‘ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স’ এটি মার্কিন-শৈলীর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল অনলাইন বিপণনের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন সরবরাহের উপর ভিত্তি করে পুরোপুরি ‘কগনিটিভ ডোমেন’ অপারেশন।

বিদ্যমান তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ২০২৩ সালের মে থেকে এ পর্যন্ত এক বছরেরও বেশি সময়ে, মার্কিন সরকারী সংস্থাগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডসহ হ্যাকার সংস্থাগুলো চীনা সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বড় উদ্যোগ এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোতে ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি সাইবার হামলা চালিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে শান্তিপ্রিয় দেশ এবং জনগণকে সতর্ক থাকা উচিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ধারা ৭০২’ মার্কিন সরকারের এজেন্সিগুলোর জন্য ‘ম্যাট্রিক্স’ নির্মাণ শুধুমাত্র ক্ষতিকারক নয়, বরং চীনসহ বিশ্বের সকল দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি গুরুতর হুমকি। অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং তাদের জনগণের বৈধ স্বার্থ লঙ্ঘন করতে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করে এমন মার্কিন সরকারী সংস্থাগুলোর জঘন্য আচরণের দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা এবং প্রতিরোধ করা উচিত সমস্ত দেশের সরকার এবং জনগণের।

  (স্বর্ণা/হাশিম/তুহিনা)