চীন-তাজিকিস্তান সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত: সিএমজি সম্পাদকীয়
2024-07-06 20:29:37

জুলাই ৬: সারা বিশ্বের দিকে তাকালে, আমরা যদি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করতে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ-বন্ধুত্ব’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করি, তবে অনেকে চীন এবং তাজিকিস্তানের কথা ভাববেন। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৪ থেকে ৬ জুলাই তাজিকিস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরের সময়, উভয়পক্ষ নতুন যুগে চীন-তাজিকিস্তান সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং চীন-তাজিকিস্তান অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করে।

চীন-তাজিকিস্তান সম্পর্ক কীভাবে নতুন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে? রাষ্ট্রপ্রধানরা কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন দশ বারের বেশি সাক্ষাৎ করেছেন এবং গভীর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব তৈরি করেছেন। এই সফরে প্রেসিডেন্ট সি প্রেসিডেন্ট রাহমনকে ‘মৈত্রী পদক’ প্রদান করেন। এই প্রথমবারের মতো চীন, বিদেশে এমন পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, যা প্রেসিডেন্ট  রাহমন এবং তাজিকিস্তানের জনগণের সাথে চীনা জনগণের গভীর বন্ধুত্বকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে।

রাষ্ট্রীয় কূটনীতির প্রধানদের নির্দেশনায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন-তাজিকিস্তান সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। তাজিকিস্তান ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ’ (বিআরআই) সহযোগিতায় যৌথ নির্মাণে অংশগ্রহণকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। দু’দেশ বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগে যোগদান করেছে। চীনের সহায়তা জাতীয় পার্লামেন্ট ভবন ও আরও একটি সরকারি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা চীন-তাজিকিস্তান সহযোগিতার একটি নতুন ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছে। চীনা কোম্পানি দ্বারা নির্মিত ২ নং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তাজিকিস্তানের রাজধানী ও আশেপাশের এলাকার ৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে যথেষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। তাজিকিস্তানের চেরি ও লেবু চীনা জনগণের খাবারের টেবিলে উঠে এসেছে।

আজ, চীন এবং তাজিকিস্তান উভয়ই জাতীয় উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। চীন জোরালোভাবে চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণ এগিয়ে নিচ্ছে, এবং তাজিকিস্তানও ‘২০৩০ সালের আগে জাতীয় উন্নয়ন কৌশল’ বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই উন্নতি দুই দেশের উন্নয়নের চাহিদা পূরণ করে এবং উভয় পক্ষের অভিন্ন আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটায়।

এ নতুন লক্ষ্যগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়? দুই রাষ্ট্রপ্রধান এর বিস্তারিত ব্যবস্থা করেছেন। পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূলভিত্তি। বাস্তব সহযোগিতা চীন-তাজিকিস্তান সম্পর্কের জন্য একটি দৃঢ় বস্তুগত ভিত্তি তৈরি করেছে। মানুষের জীবিকার জন্য সহায়ক বিনিময় বাড়লে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে।

‘ভালো ভাইদের হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত’— প্রেসিডেন্ট রাহমন প্রেসিডেন্ট সি’কে এ কথা বলেন। চীন-তাজিকিস্তান সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং চীন-তাজিকিস্তান অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির সামনে অবশ্যই একটি ভালো ভবিষ্যত রয়েছে।

  (স্বর্ণা/হাশিম/তুহিনা)