এসসিওতে বিভিন্ন চীনা প্রস্তাব: সিএমজি সম্পাদকীয়
2024-07-05 18:14:00

জুলাই ৫: চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বৃহস্পতিবার) আস্তানায় শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও’র দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ‘শাংহাই চেতনার’ আলোকে ঐক্য ও পারস্পরিক শান্তি ও নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং ন্যায্য ও সমতার পরিবার গড়ে তোলার কথা জোরদার দিয়ে উল্লেখ করেছেন। এসব প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।

বর্তমান বিশ্বের কাঠামো দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। একদিকে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আরো ন্যায্য ও বহুমেরুর দিকে উন্নীত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের জন্য সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, ক্ষমতার রাজনীতির উত্থান এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ তীব্রতর হচ্ছে। এটি বিশ্ব ও এসসিও’র অঞ্চলের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে ঝুঁকি তৈরি করেছে।

সি চিন পি মূল ধারণা, রাজনৈতিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বিশ্বের বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে চীনা প্রস্তাব ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এর মধ্যে অভিন্ন নিরাপত্তা জোরদার করা হলো এসসিও’র মৌলিক ভিত্তি। সদস্য দেশগুলোকে স্বাধীনভাবে একে অপরের নির্বাচিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করা, পারস্পরিক কেন্দ্রীয় স্বার্থে সমর্থন দেওয়া এবং অভিন্ন, বহুমুখী, সহযোগিতামূলক ও টেকসই সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব দেয় চীন। সন্ত্রাসদমন, মাদকবিরোধী ও তথ্য বিনিময় খাতে সহযোগিতা জোরদার করার দাবিও জানায় চীন।

বাস্তব সহযোগিতা হলো এসসিও উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আকার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। ২০২৩ সালে চীন মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৭.২ শতাংশ বেশি। এটি একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

ঐক্য ও সহযোগিতা হলো এসসিও’র সফল অভিজ্ঞতা। এবারের শীর্ষসম্মেলনের পর চীন এসসিও’র পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করবে। চীন বিভিন্ন সদস্য দেশের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে চায়।

 (ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)