জুলাই ৪: কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের স্থায়ী সার্বিক কৌশলগত অংশীদার সম্পর্ক রয়েছে। এ বিশেষ সম্পর্ক প্রতিবেশীদেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণ ও জয়-জয় সম্পর্কের মডেল স্থাপন করেছে। হাজারেরও বেশি ইতিহাসের রেশমপথ মৈত্রীর পর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৩২ বছর। দু’দেশ চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব, উচ্চ মাত্রার পারস্পরিক আস্থা এবং সুখ-দুঃখ ও ভবিষ্যৎসহ ভাগাভাগি করে একটি চীন-কাজাখস্তান অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব মন্তব্য করেছে।
সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কাজাখস্তান সফর করেন। সফরকালে দু’দেশের নেতারা ফুলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং যৌথ ঘোষণা করেছেন। দু’দেশ কয়েক দশকের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এটি দু’দেশের সম্পর্কের উচ্চ মানের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।
দু’দেশের যৌথ ঘোষণায় দু’দেশের ‘অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’-এ ‘অভিন্ন সমৃদ্ধির’ কথা উল্লেখ করা হয়। এ সম্পর্কে চীনের আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণা একাডেমির ইউরেশিয়া গবেষণালয়ের প্রধান দিং সিয়াও সিং মনে করেন, এটি দু’দেশের সম্পর্ক সমৃদ্ধ করে।
বর্তমান চীন ব্যাপকভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন নির্মাণ জোরদার করছে। কাজাখস্তানও দ্রুত ‘নতুন কাজাখস্তান’ পরিকল্পনা নির্মাণ করছে। চীন যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণ ও কাজাখস্তানের ‘ন্যায্য কাজাখস্তান’ পরিকল্পনা গভীরভাবে সংযুক্ত হয়েছে।
একটি নতুন ঐতিহাসিক সূচনায় দাঁড়িয়ে দু’দেশ স্থায়ী সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নীত করবে এবং যৌথভাবে আরো সমৃদ্ধ ও সুপ্ত শক্তিশালী চীন-কাজাখস্তান অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবে।
এ সফরে দু’নেতা বহুপক্ষীয় সংস্থার কাঠামোয় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা জোরদার করার কথা বলেছেন। এটি বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন ও প্রকৃত বহুপক্ষবাদ রক্ষা করবে। চীন কাজাখস্তানকে ব্রিক্সে যোগদানে সমর্থন করে। এটি কাজাখস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি ‘মধ্য শক্তি’ হিসাবে তার ভূমিকা আরও ভালভাবে পালন করতে এবং বিশ্বায়ন মোকাবিলায় নিজের অবদান রাখতে সহায়তা করবে।
(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)