আজকের বৈঠকখানায় আমার সাথে যোগ দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা। বর্তমানে শিক্ষতা ও গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে তিনি ২০০০ সাল থেকে কাজ করছেন। ড. সাহা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগে যোগদান করেন। তিনি একটি মাস্টার্স করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, এবং দ্বিতীয় মাস্টার্সটি করেন এগ্রিকালচারাল এর বায়োরিসোর্চ ইঞ্জিনিয়ারিং এ নেদারল্যাণ্ডের ওয়াজিনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন ডেনমার্কের আরহুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং পোস্টডক করেন হামবোল্ট ফেলো হিসেবে জার্মানীর লিবনিজ ইন্সটিটিউট ফর এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। এছাড়া তিনি ভিজিটিং স্কলার হিসেবে ছিলেন থাইল্যাণ্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এবং আমেরিকার পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিছুদিন আগে উনি চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে এসেছিলেন রিসার্চ স্কলার হিসেবে। ড. সাহার গবেষণার বিষয়বস্তু হলো প্রিসিশন এগ্রিকালচার, সার্কুলার বায়োইকোনমী সিস্টেম, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তির মাধ্যমে শস্য, সবজি এবং ফলের অপচয় রোধ করা। তিনি বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীল স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং অভিযোজনের একজন সম্মুখ সারির গবেষক। যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, নেদারল্যাণ্ডস, ভারতসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রধান গবেষক, সহযোগী পরিচালক, গবেষণা সমন্বয়কারী এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকল্পের গবেষক হিসেবে তাঁর চব্বিশ(২৪) বছরের গবেষণা অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৮৫টিরও বেশি পিয়ার রিভিউ নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তার একটি বই এবং ৮২টিরও বেশি সেমিনার এবং কনফারেন্স প্রসেডিং প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ সিস্টেম (BAURES) কর্তৃক অসামান্য গবেষণার স্বীকৃতিস্বরুপ গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২২ প্রাপ্ত হন। তো, চলুন কথা বলি তাঁর সঙ্গে।