জুন ২৯: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (শুক্রবার) বেইজিংয়ে আয়োজিত ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ৭০তম বার্ষিকীর’ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সার্বিকভাবে নীতির আধ্যাত্মিক অর্থ এবং সময়ের মূল্য বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন হলো নতুন পরিস্থিতিতে নীতিটির শ্রেষ্ঠ চর্চা, প্রচার ও উন্নয়ন।
এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়ম। ৭০ বছরে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতি’ ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দালিল এবং চীন ও প্রায় একশ’ দেশের কূটনৈতিক ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া-চীন অংশীদারিত্ব সম্পর্ক গবেষণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণা পরিকল্পনার পরিচালক ওয়েই চেন ইউ মনে করেন, নীতিটি হলো মূল্যবান উপাদান এবং তা লালন করতে হবে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বিরাট পরিবর্তন হচ্ছে। একদিকে বিশ্বের বহুমেরুকরণ ও অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন গভীরভাবে বিকশিত হচ্ছে। দক্ষিণ বিশ্ব পুনরুজ্জীবন হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বের অর্থনৈতিক
পুনরুদ্ধারও বেশ দুর্বল। ইউক্রেন ও ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ চলছে। কিছু বড় দেশ ঠাণ্ডা যুদ্ধের মানসিকতায় ফিরে গেছে, বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব উস্কে দিয়েছে এবং আধিপত্য বাড়ছে। বিশ্বায়ন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
সি তাঁর ভাষণে সার্বভৌম সমতার নীতি মেনে চলা, পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তি জোরদার করা, শান্তি ও নিরাপত্তার আশা বাস্তবায়ন করা, যৌথ সমৃদ্ধি গড়ে তোলা, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের ধারণায় সমর্থন করা এবং উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতা দেখানোর কথা জোর দিয়ে বলেন।
বর্তমান চীন নিজের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন দিয়ে সার্বিক শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ ও পুনরুজ্জীবন করছে। চীন বিভিন্ন দেশের কাছে নিজের সুবিধা ও অভিজ্ঞতা জানাতে চায়, যাতে অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা যায়।
(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)