নারী চাষী স্যু হোং-এর কথা
2024-06-28 10:00:02

সাধারণত গ্রীষ্মকালে, রোপণের মৌসুমে, কৃষিক্ষেতে কৃষিযন্ত্রপাতির  অনেক অপারেটর আসেন। তবে, কুই চৌ প্রদেশের সিউ ওয়েন জেলার নারী অপারেটর স্যু হোং বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো জানেন এবং কৃষিকাজ পছন্দ করেন। এখন তিনি নিজেই কৃষিক্ষেতের একটি সুন্দর দৃশ্যে পরিণত হয়েছেন। 

কুই চৌ প্রদেশের কুই ইয়াং শহরের সিউ ওয়েন জেলায় বিস্তৃত পাহাড়ি অঞ্চলে উচ্চমানের কৃষিক্ষেতে ব্যাপক পরিমাণে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। নারী অপারেটর স্যু হোং যন্ত্র চালিয়ে ধানক্ষেতে রোপণকাজ করেন।

স্যু হোং বর্তমানে কুই চৌ প্রদেশের ছুয়ান হাই কৃষিযন্ত্রপাতি সেবামূলক সমবায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “এ যন্ত্র দ্বারা বসে বসে দ্রুত চারা রোপণ ও প্রত্যাহার করা যায়। এটি ধাক্কা দেওয়া ও খনন করার তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোপণকাজ করে। এ যন্ত্রটি বর্তমানে কুই চৌ প্রদেশে অনেক জনপ্রিয়।”

গত শতাব্দীর ৮০-র দশকে জন্মগ্রহণকারী স্যু হোং আগে মালবাহী গাড়িতে কাজ করতেন। পোশাক বিক্রেতার চাকরিও করেছেন। একসময় তিনি দেখলেন, গ্রামের অনেক তরুণ-তরুণী  বাইরে কাজ করতে যাওয়ার ফলে, অনেক জমি পতিত হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে স্যু হোং’র মাথায় যন্ত্রের সাহায্যে পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষিকাজ করার সাহসী ধারণা আসে। এরপর তিনি কৃষিযন্ত্রপাতি চালানোর লাইসেন্স অর্জন করেন। তারপর ১৩ বছর গত হয়েছে। গত ১৩ বছরে স্যু হোং একজন নতুন কৃষক হয়ে উঠেছেন। তিনি জমির সাথে আত্মার সম্পর্ক গড়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই কৃষিযন্ত্রপাতি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন।

সুন হ্য বলেন, “আমাদের কুই চৌ প্রদেশের ভৌগোলিক অবস্থা অন্য প্রদেশ থেকে আলাদা। অন্য প্রদেশের ক্ষেত অনেক বড়, আমাদের এখানে তুলনামূলকভাবে ছোট। অন্য প্রদেশে চারা রোপণে যে মেশিন ব্যবহার করা হয়, সেটি আমাদের এখানে উপযোগী নয়। অন্য প্রদেশে ঘণ্টায় যে পরিমাণ চারা রোপণ করা যায়, এখানে তার অর্ধেক করা যায়। কুই চৌ প্রদেশের বিশেষত্বের কারণে, আমরা এখন তিনটি চক্রের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছি। এ যন্ত্রপাতি ইউ-টার্ন করতে পারে। বড় বা ছোট সব কৃষিক্ষেতে এটা ব্যবহার করা যায়।”

একটি ক্ষেতে চারা রোপণ শেষে স্যু হোং দ্রুত অন্য ক্ষেতে চলে যান। সেখানে তিনি ট্র্যাক্টর চালিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেন। মাঝেমধ্যেই তিনি অন্যদেরকে সূক্ষ্ম নেইল পলিস দিতে দেখে ঈর্ষান্বিত হন। কারণ, তার কাছে কাদামাটি হচ্ছে অনেকটা ক্রিমের মতো, যা প্রায় সবসময় তার শরীরে লেগে থাকে। তবে, এসব যন্ত্রপাতির সাহায্যে কৃষিকাজের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের উপার্জন বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্যু হোং।

স্যু হোং বলেন, ‘যন্ত্রপাতি চালানো সহজ কাজ। তবে, মেরামত করার প্রয়োজন হলে এবং কৃষিক্ষেতে তা অকেজো হয়ে গেলে, মন খুব খারাপ হয়। ব্লেড পরিবর্তন ও স্ক্রু করাসহ সব কাজ নিজেকেই করতে হয়।’

২০২০ সালে স্যু হোং যন্ত্রপাতি সেবা সমবায় প্রতিষ্ঠা করেন। যন্ত্রপাতি সংস্কার, নতুন সরঞ্জাম নিয়ে গবেষণা করাসহ সবাইকে নিয়ে কাজ করে যেতে এবং আধুনিক কৃষি উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমবায়ের সদস্যদের অনেকেই তরুণ। তাঁরা বিভিন্ন শিল্প থেকে এসেছেন। নানান বয়সী হলেও, তাঁরা হাতে হাত রেখে, সফলতা অর্জনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

(রুবি/আলিম)