জুন ২৫: গত ২২ জুন, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন থাও, ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডমব্রোভসকিসের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তাঁরা এই মর্মে একমত হন যে, শীঘ্রই চীনা বিদ্যুতচালিত যানবাহনের ওপর ইইউ’র ভর্তুতি-বিরোধী তদন্ত নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। ইউরোপীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, চীন ও ইউরোপের সংশ্লিষ্ট আলোচনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হতে পারে। এতে দেখা যায়, দু’পক্ষ এই মর্মে মতৈক্যে পৌঁছেছে যে, আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে বাণিজ্য-বিরোধের অবসান ঘটানো যায়। আর এর মাধ্যমে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে অক্ষতও রাখা যায়।
গত সপ্তাহান্তে জার্মানির উপ-প্রধানমন্ত্রী রবার্ট হাবেক চীন সফর করেন। চীনা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, বতর্মান পরিস্থিতিতে, শুল্ক আরোপ হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ পদ্ধতি, যা শুধু বাণিজ্য-বিরোধকে উস্কেই দেয়; শুধু সংলাপ ও আলোচনা হচ্ছে এ সমস্যা সমাধানের যথাযথ উপায়।
ইউরোপ ঘন ঘন চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। শুধু ২০২৪ সালে, চীনের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণে ইউরোপ ৩১টি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য-সংঘাত তীব্রতর হয়। চীনের বিদ্যুতচালিত যানবাহনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মতো ঘটনা বাজার অর্থনীতির বিরুদ্ধে যায়।
আসলে, সবাই সুস্পষ্টভাবেই বুঝতে পারছেন যে, ইউরোপের ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতা রক্ষার’ অজুহাতের কোনো ভিত্তি নাই। বরং, এহেন আচরণের মাধ্যমে ইউরোপ ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের ওপর চাপ এবং চীনের নতুন জ্বালানিশিল্পের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে।
সংরক্ষণবাদ প্রতিযোগিতার শক্তি বাড়াতে পারে না। চীন-ইউরোপ বাণিজ্য-বিরোধ চীন দেখতে চায় না। সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে, যৌক্তিক ও পেশাদার পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধান করতে চায় চীন। পাশাপাশি, চীন আশা করে, ইউরোপও তার সাথে একযোগে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবে। জার্মান অর্থনীতিবিদ ফার্ডিনান্ড দুদেনহোয়েফের যথার্থই বলেছেন: ‘ইউরোপ ও চীন শুধু পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।’
(আকাশ/আলিম/ফেইফেই)