চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো গতকাল (মঙ্গলবার), মে মাসে চীনের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে, সাংবাদিকদের ব্রিফ করে। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এ মাসে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক থেকে চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
কোনো অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সাথে কিছু মৌলিক বিষয়ের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ চাহিদা একটি। গত মে মাসে সামাজিক ভোক্তাপণ্য ক্রয়ে চীনারা মোট ব্যয় করেছে ৩ ট্রিলিয়ন ৯২১ বিলিয়ন ১০ কোটি ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৭ শতাংশ বেশি এবং আগের মাসের তুলনায় ১.৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। পাশাপাশি, মে মাসে সারা চীনে স্থায়ী সম্পদের ওপর বিনিয়োগ ছিল ১৮ ট্রিলিয়ন ৮০০ বিলিয়ন ৬০ কোটি ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি।
গত মে মাসে চীনের পণ্য আনদানি-রফতানির মোট পরিমাণ ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৬ শতাংশ বেশি এবং আগের মাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। এদিকে, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে চীনের পণ্য আনদানি-রফতানির মোট পরিমাণ ছিল ১৭ ট্রিলিয়ন ৫০৪ বিলিয়ন ২০ কোটি ইউয়ান, যা ইতিহাসের একটি নতুন রেকর্ড।
মে মাসে সারা চীনের নির্ধারিত আকারের উপরের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট মূল্য সংযোজন ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে নব্বই শতাংশ অঞ্চল ও আশি শতাংশ শিল্প-প্রতিষ্ঠান প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
আসলে, চীনা অর্থনীতি একটি ‘বড় সাগর’, ‘ছোট পুকুর’ নয়। এর ওপর বাহ্যিক পরিবেশের জটিলতা ও পরিবর্তন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু অর্থনৈতিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। তবে, নতুন নতুন চালিকাশক্তির ইতিবাচক প্রভাবে এবং বিশাল বাজারের সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে, চীনা অর্থনীতি সামনে এগিয়ে যাবে।
(অনুপমা/ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)