জুন ১৮: আজ (মঙ্গলবার) চীনা প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ যৌথভাবে পার্থে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চীনা এবং চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি স্বাগত ভোজসভায় যোগ দেন এবং বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক দু’দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থ এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর অভিন্ন প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্তরের সাড়ে তিনশ’ প্রতিনিধি এই  স্বাগত ভোজসভায় অংশ নিয়েছেন। লি ছিয়াং বলেন, এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাথে ব্যাপক যোগাযোগ হয়েছে এবং চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সব স্তরের অভিন্ন ইচ্ছা ও আন্তরিক প্রত্যাশা দেখা গেছে। উভয় পক্ষই একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারি অবস্থান মেনে চলতে, দুই দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থ বিবেচনা করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতাকে বৃদ্ধি ও গভীর করতে এবং চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নয়নকে জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।

লি ছিয়াং বলেন, চীনের অর্থনীতি অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক, বিশাল সম্ভাবনাময় ও প্রাণবন্ত। এর দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রবণতা পরিবর্তন হবে না। চীনের অর্থনীতির টেকসই ও স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন বজায় রাখতে চীন আত্মবিশ্বাসী। একটি সমৃদ্ধ ও আরও উন্মুক্ত চীন অবশ্যই চীন ও অস্ট্রেলিয়ার পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতার জন্য আরও নতুন সুযোগ বয়ে আনবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রেরণা যোগাবে।

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বৈচিত্র্যময় সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে বিনিময়ের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আশা করা যায়, সবাই চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি যত্নবান হবে ও সমর্থন অব্যাহত রাখবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের আদান-প্রদান ও সহযোগিতা এগিয়ে নেবে এবং চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের সুসংহতকরণ ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।

বক্তৃতায় আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বহুসাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চীনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের অর্থনীতি অত্যন্ত পরিপূরক এবং অস্ট্রেলিয়া চীনের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে যোগাযোগ ও আদান-প্রদান জোরদার করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করতে এবং আরও সাফল্য অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক উন্নত করতে চায়।

লিলি/তৌহিদ/স্বর্ণা