চীনে উচ্চমানের উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে ও হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির কথা। চীনের নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি গবেষণা ও পরীক্ষার কাজ সুচারুভাবে চলছে; কম্পিউটিং পাওয়ার অবকাঠামোর নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে; এবং চীনের কম্পিউটিং শক্তিকাঠামো ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। চীনের উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তি স্ব-নির্ভরতার পথে হাঁটছে এবং উচ্চমানের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সামনে এগুচ্ছে।
গত সপ্তাহে মহাকাশকেন্দ্রের থিয়েনহে কোর মডিউলে চীনের তিন মহাকাশচারী কয়েকটি বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে ছিল ডাবল আর্ম পুশ অ্যান্ড পুল ফোর্স, সিঙ্গেল আর্ম পুশ অ্যান্ড পুল ফোর্স, ডাবল আর্ম রোটেশন ফোর্স, হ্যান্ডহুইল রোটেশন ফোর্স, ইত্যাদি। ফ্লাইটের আগে, ফ্লাইট চলাকালীন, ও ফ্লাইটের পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং ফোর্স সংগ্রহ করা; আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে পার্থক্য এবং মাইক্রোগ্রাভিটি পরিবেশে অন-অরবিট সময়ের সাথে অপারেটিং ফোর্সের পরিবর্তনগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা; এবং অন্যান্য অপারেটিং ফোর্সের পরিবর্তন ঘটায়—এমন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করায় রত ছিলেন মহাকাশচারীরা।
পাশাপাশি, তিন মহাকাশচারী, মহাকাশে জীবন ও মানবদেহের গবেষণাসম্পর্কিত পরীক্ষামূলক নমুনা সংগ্রহ করেন এবং তরল পদার্থবিজ্ঞানের আওতায় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। কক্ষপথে অবস্থানকালে তাঁরা মহাকাশ পদার্থ বিজ্ঞান, মহাকাশ জীববিজ্ঞান, এবং মহাকাশ প্রযুক্তিসহ নানান ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ৯০টিরও বেশি পরীক্ষা চালাবেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, মে মাস পর্যন্ত সারা চীনে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ক্লাস্টারসহ দশটিরও বেশি বুদ্ধিমান কম্পিউটিং-কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বর্তমানে চীনে, বেসিক টেলিকম অপারেটরগুলোর পুরো নেটওয়ার্কের বুদ্ধিমান কম্পিউটিংয়ের স্কেল প্রত্যাশার চাইতে বেশি। জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, দেশের মোট কম্পিউটিং শক্তিতে বুদ্ধিমান কম্পিউটিং শক্তির অনুপাত ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বস্তুত, চীনে কম্পিউটিং শক্তিকাঠামো ক্রমাগত সুবিন্যস্ত হচ্ছে।
২০২৪ সালে চীনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনের ক্ষমতা প্রথমবারের মতো কয়লা থেকে উত্পাদিত বিদ্যুতকে ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উত্পাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। পশ্চিমাঞ্চলীয় জ্বালানিকেন্দ্রের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে, চীনের দূষণমুক্ত জ্বালানি খাতে, এক অবিচ্ছিন্ন চালিকাশক্তি যুক্ত হবে।
(অনুপমা/উর্মি/আলিম/ছাই)