প্রসঙ্গ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা
2024-06-17 15:30:59

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে, একাধিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলেছে। প্রশ্ন হচ্ছে: এই ডিজিটাল যুগে কিভাবে, শিক্ষাসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজকে আরও কার্যকর ও আনন্দদায়ক করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চীনের বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলোতে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা চলছে। অনেক স্কুল পরীক্ষামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয়সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরবো।

নতুন যুগে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা দিতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়ন অতি জরুরি। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ‘উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চীনের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনুন্নত এলাকায়, বিজ্ঞানশিক্ষার অবকাঠামো দুর্বল এবং শিক্ষক, পরীক্ষাগারের বিভিন্ন সরঞ্জাম, বিজ্ঞানশিক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও যন্ত্রপাতির অভাব আছে।

এই প্রেক্ষাপটে, বিজ্ঞানের সাথে জড়িত শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়নের মাধ্যমে, অনলাইন ক্লাস ও সিমুলেশন পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে, চীনের অনুন্নত ও দূরবর্তী এলাকার স্কুলগুলোর বিজ্ঞানশিক্ষার মান উন্নত করা সম্ভব। এতে উন্নত এলাকার স্কুলগুলোর সাথে এসব স্কুলের বিজ্ঞানশিক্ষার মানের ব্যবধান দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।

শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়নের সাথে সাথে, গ্রামাঞ্চলের স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম স্থাপনার কাজ জোরদার করা জরুরি। তাতে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আরও সহজে, বিজ্ঞানশিক্ষার সাথে সম্পর্কিত সম্পদ হাতের কাছে পাবে ও তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।

বাধ্যতামূলক শিক্ষার পর্যায়ে, বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় না; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যায় পরতে হয়। আজকাল এমন সমস্যা অনেক স্কুলে দেখা যায়। নিরাপত্তার কারণে অনেক স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাসে শুধু নির্দিষ্ট সরঞ্জাম ব্যবহার করেন ও ছোট ছোট পরীক্ষা করেন। পরীক্ষাগুলোর নমুনা ও ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক কোনো পার্থক্যও থাকে না। বস্তুত, এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তোলা কঠিন কাজ।

তবে, ভিআর ও এআর প্রযুক্তির প্রয়োগ পরিবেশ ও সরঞ্জামের সীমাবদ্ধ দূর করতে পারে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার নমুনা বিভিন্ন সিমুলেশন মডেলিং সফটওয়্যার মাধ্যমে তুলে ধরা যায়, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছামতো সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার তথ্য জানতে ও নিয়ম শিখতে পারে। এভাবে বার বার পরীক্ষা করলেও, কোনো সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি নষ্ট হবার ভয় থাকে না।

ডিজিটায়নের কারণে, শিক্ষকদের পড়াশোনার মান ও দক্ষতা উন্নত হচ্ছে। পাহাড়াঞ্চলের স্কুলে তথ্যপ্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস যারা নেন, তাদের অধিকাংশই অন্য মেজর থেকে আসা। তাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাদের কাছেই নতুন বিষয়। আশার কথা, সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাদের মান অনেক বেড়েছে; তাদের শিক্ষাদানের মানও ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে।

শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যুগে, দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের চাহিদা মেটাতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি দ্রুত বদলে যায়। তাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট শিক্ষাকেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত করতে হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সম্পদের ডিজিটায়নের জন্য স্কুল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মহলের যৌথ প্রচেষ্টা দরকার। এভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ডিজিটায়নের বহুমুখী ও ইতিবাচক উন্নয়ন সম্ভব।

ডিজিটায়নকৃত শিক্ষাসম্পদ কেবল পড়াশোনার বিষয় সমৃদ্ধ করে না, বরং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে জড়িত শিক্ষাসম্পদের মানও আধুনিক প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নত করতে হবে। আরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে এর সাথে জড়িত করতে হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব কমানো জরুরি। চীনের হুয়াতুং নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছুই ইয়ুন হুও বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষকরা সঠিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয় পড়াতে পারেন না; শিক্ষার্থীরা ভুল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছে। যদি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার বিষয় বিশ্বাস না-করে বা রসায়নের শিক্ষার্থীরা পেশাদার জ্ঞানের অভাবে ভোগে, অথবা জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা জীবন সম্পর্কে সঠিক চেতনা অর্জন না-করে, তাহলে তাদের পড়াশোনার ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে না। তাই, ডিজিটাল শিক্ষাসম্পদের সুবিধা কাজে লাগিয়ে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিক্ষার বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে। অনেকে বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার সাথে বাস্তব জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে, উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার সাথে সাধারণ মানুষের জীবনের দূরত্ব অনেক বেশি। তাই বিমূর্ত জ্ঞান অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বিরক্তিকর আর অবোধগম্য বিষয়। এ অবস্থায় শিক্ষকরা যদি সংশ্লিষ্ট ক্লাসে ছবি, নমুনা, ভিডিও বা অডিও ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান ও তত্ত্ব শেখান, তবে শিক্ষার্থীদের জন্য তা বুঝতে অনেকটা সহজ হতে পারে। যেমন, জীববিজ্ঞান তত্ত্ব ব্যাখ্যা করার সময় ভিআর প্রযুক্তিতে কোষের গঠনের ৩ডি নমুনা টেবিলে অভিক্ষেপ করা যেতে পারে। এভাবে বিভিন্ন কোণ ও দিক থেকে কোষ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

বস্তুত, এআর ও ভিআর প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল বৈজ্ঞানিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। মরীচিকা, সূর্যগ্রহণ, মাধ্যাকর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক দৃশ্য শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে তুলে ধরা যায় এভাবে। এতে বিজ্ঞানশিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে, মনোযোগ বাড়বে।

শক্তি সংরক্ষণ আইনের দিক থেকে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বজ্রপাতের দৃশ্য ব্যাখ্যা করা একটি অতি জটিল বিষয়। সাধারণ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারটা বোঝানো কঠিন।  আমাদের বাস্তব জীবনে এ ফেনোমেনন দেখে শক্তি সংরক্ষণ আইনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করাও সম্ভব নয়। তবে, ডিজিটাল নমুনার মাধ্যমে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য সরাসরি দেখানো যায়, ব্যাখ্যা করা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে প্রকৃতির রহস্যময় এ কাজকে অনুভব করতে পারে।

চীনের থিয়ানচিন মহানগরের নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ এআই ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা মানুষ আকারের রোবট ও ছোট আকারের রোবটের সাথে কথাবার্তা বলতে পারে। শিক্ষকরা তাদের সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেন এবং অনুসন্ধানকাজে উত্সাহ দেন। এ সম্পর্কে স্কুলের তথ্য বিভাগের পরিচালক, এআই ক্লাসরুমের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াং কেং বলেন, স্কুলে এআই প্রযুক্তির পরীক্ষাগার স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনের দরজা খুলে দেওয়া; তাদের যত দ্রুত সম্ভব এআই প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো।

প্রায় ৫ বছরের রূপান্তর ও উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় এখন স্কুলের এআই ক্লাসরুমের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আরও উন্নত হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হার্ডওয়্যার ক্যারিয়ার, সৃজনশীল ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় এখানে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সহকারী রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। রোবটের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এআই প্রযুক্তির নানান দিক সম্পর্কে জানতে পারছে।

নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্কুলে ২০টিরও বেশি উচ্চমানের আধুনিক এআই পরীক্ষাগার নির্মিত হয়েছে। এ খাতে স্কুলটি অন্যান্য মাধ্যমিক স্কুলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের  সাথে সহযোগিতা করছে; ‘বুদ্ধিমান মহাশূন্য স্টেশন’সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার চালু করেছে। বস্তুত, বিভিন্ন স্কুলের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাসরুম, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানসচেতনা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও রাখছে।

শিক্ষক ওয়াং আরও বলেন, এআই প্রযুক্তির বহুমুখী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন ক্লাস চালুর পর, থিয়ানচিনে এআই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হয়েছে। এখন নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মাধ্যমিক স্কুল চীনের এআই প্রযুক্তির ‘শিক্ষাঘাঁটি’-তে পরিণত হয়েছে বলা যায়।

রোবট প্রোগ্রামিং গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ১৬ বছর আগে থিয়ানচিনের একটি প্রাথমিক স্কুলে এটি প্রথম শুরু হয়। ২০০৮ সালে থিয়ানচিন নানখাই এলাকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সিয়োং ছুন খুই প্রথমবারের মতো ওয়েক্স রোবট প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারেন এবং স্কুলে ভেক্স সরঞ্জাম আমদানি করেন। পরে তিনি এ ক্লাসের শিক্ষক হন। ছাত্রছাত্রীরা যাতে রোবট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে তিনি দিনরাত ধরে সংশ্লিষ্ট গবেষণাকাজ করতে থাকেন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রোগ্রামিং কোর্স বোঝাতে থাকেন। প্রায় ২ বছর পর তিনি বাচ্চাদের নিয়ে বিদেশে রোবট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং বিশ্বের মঞ্চে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন।

বহু বছর ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস নেয়ার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করেন শিক্ষক সিয়োং। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের স্বেচ্ছাসেবকরা শিশু বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল, আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের রোবট এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় তুলে ধরছেন। এভাবে আরও বেশি শিশু-কিশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।

বস্তুত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল, পরিবার ও সমাজের যৌথ প্রয়াস দরকার। থিয়ানচিন মহানগরের বিভিন্ন স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাসের উন্নয়নের মাধ্যমে, স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে এবং পিতামাতারা মনে করেন, তাদের বাচ্চাদের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনাও ক্রমশ বাড়ছে।

(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)