জুন ১৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুরহাট জমে উঠেছে । ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে চলছে বেচাকেনা। এবার ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
এদিকে, গাবতলী হাট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখোর হাট প্রাঙ্গণ। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা।
হাজারীবাগ থেকে গাবতলী পশুর হাটে আসা ক্রেতা মো. আলমগির হোসেন জানান, পুরো এলাকা জুড়ে গরু আর গরু। আত্বীয়স্বজন মিলে তিনটি গরু কিনেছেন তারা। তবে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম মনে হয়েছে তার কাছে।
তিনি আরও জানান, বিক্রি জমে উঠেছে। পর্যাপ্ত গরু রয়েছে হাটে। সহনীয় দামে ক্রেতারা গরু কিনতে পারবেন।
মোহাম্মাদপুর বছিলা হাটে আসা আরিফ হোসেন বলেন, এই হাট থেকে তিনি একটি গরু কিনেছেন। গত দুই দিনের তুলনায় এখন দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।
গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার পথে ফেরদৌস আবেদিন জানান, এবার ভাগে কোরবানি করছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে এককভাবে কোরবানির সংখ্যা কমে গেছে বলেও জানান তিনি। তারা কয়েকজন মিলে এবার কোরবানি দিচ্ছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, শনিবার থেকে হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাটে এখন অনেক ক্রেতা আসছেন।
গাবতলী হাটের চান মিয়া বেপারী জানান, মাঝারি ও বড় আকারের ৩০ টি গরু এনেছি। এর মধ্যে ১৫টি বিক্রি হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। ক্রেতারা মাজারি ও ছোট গরু কিনতে বেশি আগ্রহী।
এছাড়া, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পাবনা, মাগুরা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই পশুর হাট চলবে ১৭ জুন অর্থাৎ ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। এছাড়া পশুর স্বাস্থ্যসেবাসহ হাটগুলোতে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাইয়ান/ ঐশী
ছবি: সিএমজি বাংলা