জুন ৯: সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা, ২০২৩’ শীর্ষক রিপোর্ট। রিপোর্টে চীনসহ ১৭টি দেশ বা অঞ্চলের ২৯টি ‘অতিরিক্ত সামুদ্রিক অবস্থান’-এর নাম উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে মার্কিন সরকার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ টার্মটি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের প্রদর্শনী ও যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের ‘সবচেয়ে বড় অজুহাতে’ পরিণত হয়েছে। গেল বছর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিপিন্স, চীনের ‘রেন আই’ দ্বীপ ও ‘হুয়াং ইয়ান’ দ্বীপসহ সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলে তত্পরতা চালাচ্ছে; দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফিলিপিন্স প্রথমবারের মতো ত্রিপক্ষীয় শীর্ষসম্মেলন আয়োজন করেছে। এসব ঘটনার মূল হোতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বহুবার ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’-র অজুহাত তুলেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে: ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ মানে কী? মার্কিন চরিত্রের ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ এবং আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’-র মধ্যে পার্থক্য কী? এ সব ঘটনার হোতা যুক্তরাষ্ট্র আসলে কী চায়? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।
‘জাতিসংঘ সামুদ্রিক আইন কনভেশন’-এর ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ আসলে এক নয়। জাতিসংঘের ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ মানে বিভিন্ন দেশের ন্যায্য সামুদ্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করে বৈশ্বিক সামুদ্রিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা; আর মার্কিন ‘নেভিগেশন স্বাধীনতা’ মানে, সামরিক কূটনৈতিক অপতত্পরতার মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক আধিপত্য রক্ষা করা।
বস্তুত, এই দুই স্বাধীনতার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ‘জাতিসংঘের সামুদ্রিক আইন কনভেশন’-এ যোগ না-দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র, ‘নেভিগেশন স্বাধীনতার’ অজুহাতে, অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক আচরণ করে যাচ্ছে। আর এর উদ্দেশ্য স্পষ্ট: সমুদ্রে মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখা ও এর আরও বিস্তার ঘটানো। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)