সপ্তম চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইম্পোর্ট এক্সপো’র জার্মানি প্রমোশন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
2024-06-06 14:16:10

জুন ৬: চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইম্পোর্ট এক্সপো ব্যুরো এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে চীনা কনস্যুলেট জেনারেলের সহযোগিতায় স্টুটগার্টে অনুষ্ঠিত হলো সপ্তম চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইম্পোর্ট এক্সপো বা সিআইআইই’র জার্মানি প্রমোশন কনফারেন্স। স্থানীয় সময় বুধবার এ এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়। চীনা ও জার্মান প্রতিষ্ঠান এবং এ আয়োজনে জড়িতরাসহ প্রায় দেড়শ প্রতিনিধি এবারের সভায় অংশ নেন। জার্মান প্রতিনিধিরা বলেছেন, চীনের উন্নয়নে জার্মান কোম্পানিগুলোর অংশী হওয়ার একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে এ আয়োজন।

জার্মানিতে চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অফিসের মন্ত্রী চাই ছিয়েন বলেন, এই বছর চীন ও জার্মানির মধ্যে সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। গত ১০ বছরে আর্থ-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প এবং সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে চীন ও জার্মানির সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’পক্ষের সক্রিয় বিনিময় রয়েছে।

জার্মানি বহু বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন-জার্মান আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা অনুশীলন সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং দৃঢ় স্থিতিস্থাপকতাও দেখিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা প্রদানও করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটা দেখে খুবই খুশি যে, প্রতি বছর জার্মান কোম্পানিগুলো সিআইআইই’র গুরুত্বপূর্ণ অতিথি হিসেবে থাকে। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ও তাদের পরিসরের আয়তন বিবেচনায়ও দেখা যায় এ আয়োজন সেরা আসনে থাকে জার্মানি। আবার এটাও বলা যায় যে, চীনের সংস্কার, উন্মুক্তকরণ নীতির সুবিধাও ভোগ করতে পারছে জার্মান কোম্পানিগুলো।

নিত্যনতুন পণ্য ও পরিষেবা সিআইআইই প্রদর্শনীটিকে করে তোলে আরও জাঁকজমকপূর্ণ।

চাই ছিয়েন বলেন, আমি আশা করি, আজকের প্রচার সভার মাধ্যমে, সিআইআইই প্রসঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ ধারণা এবং বহির্বিশ্বের কাছে চীনের উন্মুক্তকরণ সম্পর্কেও গভীর উপলব্ধি পাবে সবাই। চীনের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে যে নতুন সুযোগগুলো আসছে সেগুলোকেও কাজে লাগানো যাবে এতে।

চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইম্পোর্ট এক্সপো ব্যুরোর উপ পরিচালক উ চেং পিং বলেন, ১৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রথম ছয়টি সিআইআইইতে অংশগ্রহণ করেছে। এ বছরের সপ্তম সিআইআইই-এর প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে চলছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত, এক হাজারেরও বেশি কোম্পানি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তাদের মধ্যে, জার্মান কোম্পানিগুলো ইউরোপে প্রথম সারিতে আছে এবং ৭৫টি কোম্পানি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একদিকে এটি চীনের অর্থনীতির শক্তিমত্তা সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত করছে, অন্যদিকে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদেশি কোম্পানির আস্থারও প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। আশা করা যায় যে, এ বছরের সপ্তম সিআইআইই’তে ইউরোপ থেকে বিশেষ করে জার্মানি থেকে আরও বেশি কোম্পানি অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ইমপোর্ট এক্সপো ব্যুরো প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলোর জন্য নীতি-সমর্থনের মাত্রাও বাড়াবে চীন।

কারচার গ্রুপ টানা ৬ বছর ধরে সিআইআইই’তে অংশ নিয়ে আসছে এবং চলতি বছর গ্রুপটি বিশেষভাবে এর অধীনে থাকা ‘হক’ ব্র্যান্ডটিকে জনপ্রিয় করে তুলবে। এই ব্র্যান্ডের বোর্ড অব ডিরেক্টারের চেয়ারম্যান তোবিয়াস ওয়াল বলেন, সিআইআইই কারচার গ্রুপের জন্য চীনের উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সেরা প্লাটফর্ম যুগিয়েছে।

বিগত ৬ বছরে সিআইআইইকে কাজে লাগিয়ে জার্মানির কারচার ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অর্ডার পাওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগও বেড়েছে।

তোবিয়াস ওয়াল বলেন, আমাদের জন্য সিআইআইই কৌশলগত একটি প্রদর্শনী। আমরা বিশ্বাস করি, এ থেকে আমাদের ব্র্যান্ড ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। চীনের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুব তীব্র। তবে আমাদের জন্য বলা যায় অগণিত সুযোগও ছড়িয়ে আছে।

লিলি/ফয়সল/স্বর্ণা