জুন ১: গত বৃহস্পতিবার গাজা অঞ্চলে ইসরায়েল অব্যাহতভাবে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে, চীন-আরব সহযোগিতা ফোরামের দশম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ‘ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে চীন-আরবদেশগুলোর যৌথ ঘোষণা’ প্রকাশ করেছে। গাজা সংঘাত ও ফিলিস্তিন সমস্যার সার্বিক ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এগিয়ে নেয়ার খাতে তা ন্যায্যতার কথা প্রকাশ করেছে। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।
গত অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের সংঘাত গুরুতর হয়ে ওঠে। এতে এ পর্যন্ত গাজা অঞ্চলে ইতোমধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন এবং প্রায় কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ তাদের গৃহহীন হয়েছেন। এ অবস্থায়, চীন-আরব সহযোগিতা ফোরামের দশম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন সবচেয়ে শক্তিশালী আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের জাতিগত বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতি তা দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। তার উপর আন্তর্জাতিক সমাজ গভীর নজর রাখছে।
এবারের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মূল ভাষণে বলেছেন, ‘যুদ্ধ চলতে থাকবে, তা হতে পারে না; ন্যায্যতা দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়িত হবে না, তা হবে না; ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ থেকে কোনোভাবে সরে আসা যাবে না।’ তাঁর কথা ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল ঘেইত জানান, ফিলিস্তিন সমস্যায় চীনের অবস্থান অনেক প্রশংসনীয়। চীনের সাথে একযোগে যুদ্ধ বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উত্তেজনা কমানো ও ফিলিস্তিন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে চায় আরব দেশগুলো।
ফিলিস্তিন সমস্যা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার মৌলিক বিষয়। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যত পরিবর্তনই হোক-না-কেন, ফিলিস্তিনি মানুষের জাতিগত বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারে চীন বরাবরই দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। নতুন দফা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের পর, কূটনৈতিক পদ্ধতিসহ নানা পথে দু’পক্ষের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য চীন ইতিবাচকভাবে কাজ করেছে। চীনের প্রচেষ্টায় হামাস ও ফাতাহ বেইজিংয়ে বৈঠক করেছিল। ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ একতা জোরদারে চীন সমর্থন জানায়।
দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে চীন অব্যাহত ও দৃঢ়ভাবে আরব দেশগুলোর সঙ্গে একযোগে ন্যায্যতা রক্ষা করে দ্রুত ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাজ করবে এবং ফিলিস্তিন সমস্যার সার্বিক ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এগিয়ে নেবে। যাতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত শান্তি বাস্তবায়ন করা যায়।
(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)