মে ১৪: ২২তম ইউচু পাহাড় আরোহণ গেমস সম্প্রতি ছিংহাই প্রদেশের হাইসি মঙ্গোলীয় ও চাং জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের গোলমুদ শহরে আয়োজিত হয়। বেইজিং, শাংহাই, কুয়াংচৌ, নানচিং, শেনচেন ও হাংচৌ’র ৮০ জন পর্বতারোহী এবারের গেমসে অংশগ্রহণ করেন।
সমুদ্র থেকে পৃষ্ঠ থেকে ৬১৭৮ মিটার উঁচু ইউচু পাহাড় হাইসি বান্নারের গোলমুদ শহর ও ইউশু চাং জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। পাহাড়ের শৃঙ্গটি কুনলুন পর্বতমালার পূর্ব অংশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
শয়ানসি প্রদেশের ইউলিনের ১৮ বছর বয়সী তরুণ লি ফাং ইউয়ান রাত ২টায় তাঁর দলের সদস্যদের নিয়ে ইউচু পাহাড়ে ওঠা শুরু করেন। তাঁরা সফলভাবে পাহাড়ের শৃঙ্গে পৌঁছান। এ সাফল্যে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, তুষার পাহাড়ের অসাধারণ দৃশ্য তাঁকে হতবাক করেছে।
চুইউ পাহাড়ের বিশেষ প্রাকৃতিক সম্পদের সুবিধা ব্যবহার করার জন্য, ছিংহাই প্রদেশের ক্রীড়া ব্যুরো ও গোলমুদ শহরের পৌর সরকার ২০১১ সালে যৌথভাবে ইউচু জাতীয় পাহাড় আরোহণ অনুশীলনকেন্দ্র নির্মাণ করে। এটি পর্বতে আরোহণ ও হাইকিং অ্যাডভেঞ্চারের মতো বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তিশালী লজিস্টিক সহায়তা দেয়।
গোলমুদ শহরের সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বেতার ও টেলিভিশন ব্যুরোর প্রধান মাও ইয়ং ফিং বলেন, স্থানীয় সরকার জনগণের কল্যাণে ও জনগণের স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নের জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলায় আগ্রহী করে তোলা সেই প্রচেষ্টার একটা অংশ।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউচু পাহাড় আরোহণকেন্দ্রের রূপান্তর বাস্তবায়ন করবে। এখানে সংশ্লিষ্টদের বাসস্থান, খাবার, ও প্রশিক্ষণের সুবন্দোবস্থ থাকবে। এটি হবে একটি বহুমুখী কেন্দ্র।
২০২১ সালে ইউশু বান্নারের ছুমালাই জেলায় অবস্থিত ইউচু পাহাড়ে ১৭৭৮ জন পর্যটক আসেন। পর্যটকসংখ্যা বাড়ার কারণে আগের অবকাঠামো ব্যবস্থা পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না। তাই, স্থানীয় সরকার ইউচু পাহাড় আন্তর্জাতিক পাহাড় আরোহণ নগর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
পাহাড় আরোহণ শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি, স্থানীয়দের জন্য গাইড হিসেবে কাজ করার সুযোগও বাড়ছে। চলতি বছর স্থানীয় ২০ জন পশুপালক গাইডের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ছিংহাই প্রদেশের ক্রীড়া ব্যুরোর পরিচালক ওয়াং সিয়া বলেন, ছিংহাইয়ের পরিবেশগত সুবিধাগুলোকে বহিরঙ্গন ক্রীড়া শিল্প, পরিকল্পনা উন্নয়ন, এবং ক্রীড়া পর্যটনের সুবিধায় রূপান্তর করতে হবে। ছিংহাই প্রদেশের মহা বহিরঙ্গন শিল্পের কাঠামো গড়ে তোলা হবে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)