মে ২৬, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের মূল ভূখণ্ড এবং চীনের তাইওয়ান অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কায়রো ঘোষণার প্রেক্ষাপটে এক চীন নীতি বিষয়ক একটি সংলাপ করেছেন।
কায়রো এবং পটসডাম ঘোষণাসহ একাধিক নথি এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন তাইওয়ানের রিইউনিফিকেশন পার্টির প্রধান চি চিয়া-লি।
মূল পাঠ্যের উদ্ধৃতি ও ব্যাখ্যা করে চি বিশ্লেষণ করেছেন, এই নথিগুলো, আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে, তাইওয়ানে জাপানের দখলদারিত্বের অবৈধতা স্পষ্ট করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে তাইওয়ান চীনেরই অঞ্চল।
চি আরও দেখিয়েছেন, কায়রো ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রভাবযুক্ত একটি আইনি দলিল। এটি কেবল কাগজে-কলমে নয়, ঐতিহাসিকভাবেও স্বীকৃত।
অন্যদিকে, চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের সদস্য চাং হাইপেং, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নং রেজোলিউশন গৃহীত হওয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করেছেন এবং এর তাৎপর্যের কথা বলেছেন।
চাং বলেন, রেজোলিউশনটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিশ্বে একটিই চীন রয়েছে এবং তাইওয়ান চীনের অংশ, অন্য কোনো দেশ নয়। তিনি আরও বলেন, রেজোলিউশনটি স্পষ্ট করেছে যে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার জাতিসংঘে চীনের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং সেখানে ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন, এক তাইওয়ান’ নেই।
সংলাপটি আন্তঃপ্রণালী একাডেমিক ইভেন্টের অংশ। যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি এবং একাডেমি অফ চাইনিজ কালচার।
ফয়সল/শুভ
তথ্য ও ছবি: সিজিটিএন