রোববারের আলাপন: কুয়াংতোংয়ের গ্রামাঞ্চলে ধারাবাহিক গণশরীরচর্চা প্রতিযোগিতা আয়োজিত
2024-05-26 03:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু আকাশ ও তৌহিদ।

১২ মে ২০২৪ সালে কুয়াংতো প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে ধারাবাহিক গণশরীরচর্চা প্রতিযোগিতা হ্য ইয়ান শহরের মা পু কাং মাধ্যমিক স্কুলে আয়োজন করা হয়। 

এতে মার্শাল আর্ট-সহ একাধিক খেলাধুলা আয়োজন করা হয়। এতে একাধিক বিশেষজ্ঞ সবাইকে গণশরীরচর্চার বিষয়ে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও দিয়েছেন। 

উল্লেখ্য কুয়াং তোং প্রদেশের ক্রীড়া প্রশাসন ব্যুরো ‘গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া স্থাপনা বণ্টন প্রকল্প’ চালু করেছে। তা গ্রামাঞ্চলের স্কুল ও আশেপাশে অঞ্চলের ক্রীড়া স্থাপনা উন্নত করেছে। পাশাপাশি, গ্রামবাসীরাও স্থানীয় স্কুলের ক্রীড়া সরঞ্জাম ও স্থাপনা ব্যবহারের সুযোগসুবিধাও পেয়েছেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা সুবিধাজনক গণশরীরচর্চা সেবা উপভোগ করতে পারেন।

এবারের কুয়াং তোং গ্রামাঞ্চলে ধারাবাহিক গণশরীরচর্চা প্রতিযোগিতা মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গোটা প্রদেশে আয়োজন করা হবে। এতে ব্যাডমিন্টন, পিংপং ও বাস্কেটবলসহ একাধিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে।  

ভাই, ‘মানুষদের সুবিধা দেওয়া ও সেবা দেওয়ার’ এ ধারণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার খাতে এ ধারণাকেও অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে চীন। আপনি কি মনে করেন?

তৌহিদ:...

আপনি চীনের গ্রামাঞ্চলে অবশ্যই গিয়েছেন। কেমন লেগেছে আপনার? কিছু আপনার স্মৃতি আমাদের বলতে পারবেন কি?

তৌহিদ:..

চীনের গণশরীরচর্চার বিষয়ে আপনি কি বলবেন?

তৌহিদ: অনেক কথাই বলা যায়। তবে আজ চীনের গণশরীরচর্চা পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ নিয়ে কিছু তথ্য জানাই।

২০২১-২০২৫ মেয়াদের গণশরীরচর্চা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে যে, এ সময় গণশরীরচর্চা ব্যবস্থা আরো উন্নত করা হবে, এবং জনগণ খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য আরো বেশি সুবিধা পাবেন। শরীরচর্চায় অংশগ্রহণকারীদের আবেগ আরো বাড়বে, এবং সব ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মাঝে মাঝে শরীরচর্চাকারীদের সংখ্যা ৩৮.৫ শতাংশে বাস্তবায়িত হবে। শহর ও গ্রামের গণশরীরচর্চার স্থাপনা ও সরঞ্জাম আরো সম্প্রসারিত ও সুবিধাজনক করা হবে। 

পরিকল্পনায় আরো বলা হয়, গণশরীরচর্চার স্থাপনা ও সরঞ্জাম আরো সম্প্রসারণ করা হবে। দেশব্যাপী আরো ২০০০টিরও বেশি খেলাধুলা পার্ক, গণশরীরচর্চা কেন্দ্র ও গণখেলাধুলা স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। 

পরিকল্পনা মতে, দেশব্যাপী সার্বিকভাবে গণশরীরচর্চা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। গণশরীরচর্চা সম্মেলন, জাতীয় কমিউনিটি গেমস, এবং গণশরীরচর্চা দিবসসহ নানা গণশরীরচর্চা কার্যক্রম আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, সব ধরনের প্রতিবন্ধী খেলাধুলার আয়োজনকে সমথর্ন দেওয়া হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গণশরীরচর্চার সমন্বিত উন্নয়নকে প্রমোট করা হবে। 

পরিকল্পনাটিতে বলা হয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ বা গোষ্ঠীর জন্য শরীরচর্চা কর্মকাণ্ড তারানিত্ব করা হবে। তরণ-তরুণীদের খেলাধুলা প্রমোট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বয়স্কদের জন্য উপযুক্ত খেলাধুলা সরঞ্জাম ও প্রতিযোগিতা কর্মকান্ড প্রমোট করা হবে। গণশরীরচর্চা স্থাপনা বাধামুক্ত করা হবে, এবং প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলা পরিচালনা করা হবে। চাষী ও নারীদের শরীরচর্চা কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়া হবে। 

পরিকল্পনা অনুসারে, খেলাধুলা ও পর্যটনের সংযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হবে। পর্বতারোহন, হাইকিং, মারাথ্যন, ও সাইক্লিংসহ নানা আউটডোর খেলাধুলা প্রমোট করা হবে। তার সংশ্লিষ্ট সব সুবিধা প্রতিষ্ঠা ও উন্নত করা হবে। 

পাশাপাশি, গত বছরের মে মাসে, রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া সাধারণ প্রশাসনসহ মোট ১২টি সরকারি বিভাগ ‘ক্রীড়া উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাম পুনরুজ্জীবন আরও এগিয়ে নেওয়া-বিষয়ক দিক-নির্দেশনা’ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, শহর ও গ্রামাঞ্চলের গণশরীরচর্চা সেবা সম্পদ ভারসাম্যপূর্ণভাবে এগিয়ে নিতে হবে এবং গ্রামাঞ্চলের গণশরীরচর্চা উপকরণ ও স্থাপনা আরও উন্নত করতে হবে।

বাংলাদেশের গ্রমাঞ্চলের গণশরীরচর্চার এখন কি অবস্থা?

তৌহিদ:.