চিন হাই শিন ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়েছেন। তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীতের অধ্যাপক। মায়ের প্রশিক্ষণে তিনি ৫ বছর বয়স থেকে পিয়ানো ও বাঁশি শিখতে শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তার কণ্ঠস্বর খুব উচ্চু, তাই হাই-পিচ গান গাওয়া কোনো কঠিন কাজ নয় তার কাছে। তাছাড়া, কন্ঠস্বর পরিবর্তনশীল বলে তিনি কয়েকটি কার্টুন চলচ্চিত্রেও কন্ঠ দিয়েছেন।
গানে বলা হয়েছে, আমি তোমার জন্য কেঁদেছিলাম, হেসেছিলাম এবং মন ভেঙেছিল, কিন্তু এখন আর করবো না। তুমি থাকবে না। এখন চলে যাওয়া কঠিন লাগে কারণ তোমার অহংকার কাজ করছে। কাল সকালে উঠার পর তুমি বুঝবে আসলে তুমি ভালবাসোনি।
এখন শুনুন, আরেকটি গান ‘শ্বাস ও ভালবাসা’। গানে বলা হয়েছে, শ্বাস নিয়ে তোমার সঙ্গে বাতাসে উড়ে যাই। সব কিছু দুঃখের কথা ভুলে যাই। বাতাসের মত রোদে স্নান করি।
‘কি গান গেয়েছিলে’ গানটি চিন হাই শিন নিজেই লিখেছেন। গায়িকা হিসেবে সঙ্গীত তার জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ এ গানে প্রকাশিত হয়। গানে বলা হয়েছে, মানুষ সব সময় আমাকে জিজ্ঞাস করে, তুমি কি গান গেয়েছিলে? তুমি হয়তো মাত্র বেতার খুলেছো, আর তখন বেতারে আমার গান প্রচারিত ছিলো। কিন্তু তোমার মন খারাপ ছিলো, তাই আমার গান শোনোনি। আমি জন্ম থেকেই গান গাইতে পছন্দ করি। গান না গাইলে আমার মন খারাপ হয়। জীবনে পিয়ানো না থাকলে যেন কিছু হারিয়ে গেছে। কেউ যদি না শুনে অন্তত সুর আমার সঙ্গে। কখনো গুণতে হবে না, তার সংখ্যা ৭। একটি গান যদি তোমার ভাল লাগে, শুনতে শুনতে চোখ থেকে অশ্রু পড়ে। তাহলে বুঝবে সে গানটি গাওয়ার মানুষের মন তোমার সঙ্গে একই।
এখন শুনুন গান ‘তোমার কানকে জাগিয়ে দেই’। গানে বলা হয়েছে, রাস্তায় মানুষ চলাফেরা করছে, মুখে তাদের মন বোঝা যায় না। আমার মন গান গাইতে ভালবাসে, এ অবস্থা দেখে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসে গেছি। আমি দেশপ্রেমের গান বা মানুষ প্রেমের গান দুটোই ভালবাসি। যারা যে আমার গান গাইছে তারা শুধু জেগে থাকলেই হয়। পার্কটি ভেঙে দেওয়া হবে, কিন্তু স্মৃতি থাকবে। কেন না গান দিয়ে মনের কথা লিখে রাখো। তুমি গান গাইতে নাও পছন্দ করো। তাহলে প্রথম আলোয় তোমার কানকে জাগিয়ে দেই।
এখন শুনুন ‘বিড়ালের বন’ গানটি। গানে বলা হয়েছে, বাতাস দূর থেকে ঘুমের মধ্যে শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। স্বপ্নে তোমাকে দেখেছি, আমার জগতে প্রবেশ করেছো। স্বপ্নে আমি একাকি একটি প্রজাপতি। তুমিও একলা মেঘ, একলা আমাকে দেখেছো। তোমার সঙ্গে যেকোন জায়গা যাওয়া যায়।
‘নার্গিস ফুলের মত প্রেম’ গানে বলা হয়, তুমি বলেছো আমি নার্গিস ফুলের মত ঠান্ডা। শীতকালে কেবল আমার হাসিমুখ দেখা যায়। তুমি বলেছো আমি একটি পৌরাণিক কাহিনীর জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এ কাহিনী কখনো হবে না। তুমি বলেছো তোমার জন্য আমাকে পরিবর্তন করতে হবে। আমাকে গ্রীষ্মকালে ফুটে থাকতে হয়। কিন্তু ভুলে যেও না, আমি নার্গিস ফুল। তুষার আমার বসন্ত।
এখুন শুনুন ‘জেগে থাকা সমুদ্র’ গানটি। গানে বলা হয়েছে, ঘুম না আসা রাতের মধ্যে সমুদ্র দেখে মনে হয় সুদূর থেকে তোমার নিশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পারি। আমি সমুদ্রের কাছে দৌড়ে যেতে চাই। সমুদ্রের তীরে নিজের বেদনার কথা বলি। কেন তুমি বিশ্বাস করো না, আমি সত্যি তোমার জন্য অনুভব করি, তোমাকে ভালবাসি।
প্রিয় শ্রোতা, গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম। তবে বিদায় নেওয়ার আগে চিন হাই শিন-এর আরেকটি গান শোনাবো। ‘জুতা ফেলে দেই’ গানে বলা হয়, আমি ছাদের ওপরের ঘুঘু পাখির মত উড়তে চাই। আমি নদ-নদী পার হয়ে তোমার কাঁধে থামতে চাই। তোমার যদি মন খারাপ, তাহলে আমার গান শুনো। আমি তোমার প্রেমের কথাগুলো ভালবাসা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবো। তাহলে তুমি আর কখনো মনে মনে কাঁদবে না।