চীনের ৭ বছরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনায় যা থাকছে
2024-05-24 18:26:01

মে ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: সাতটি প্রধান লক্ষ্য এবং ২৮টি প্রকল্প নিয়ে চীন একটি সাত বছরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মসূচি চালু করবে। সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছে চীনের প্রতিবেশ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

এ কর্মসূচিতে থাকছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ, কিছু প্রজাতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যের জেনেটিক তথ্য সংগ্রহ করা।

দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের উচিশান শহরে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

চীন আগামী দশকে একটি সম্পূর্ণ জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে ওই কর্মসূচিতে বলা হয়।

এই বছর চীন গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকাগুলোয় প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করবে। তাতে বিভিন্ন উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বন্য প্রাণীর প্রজনন, ইকোসিস্টেমের বণ্টন এবং ইয়েলো রিভারের উৎসমুখে মানুষের কার্যক্রমের প্রভাব মূল্যায়ন করা হবে।

২০১২ সাল থেকে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৩০টিরও বেশি আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করেছে চীন। এ ছাড়া জাতীয়ভাবে সুরক্ষিত বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদের তালিকাও সংশোধন করা হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য জাতীয় উদ্যান নির্মাণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাণীর সুরক্ষা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।

ফলস্বরূপ, দেশটির ৪৩ শতাংশেরও বেশি এলাকা এখন প্রাণীর মানসম্পন্ন আবাসস্থল হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে জায়ান্ট পান্ডা, হাইনান ব্ল্যাক-ক্রেস্টেড গিবন এবং সাগো পামের মতো বিরল বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।

সম্প্রতি চীনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেনের জন্য ১৬টি এলাকা মনোনীত করার পরিকল্পনাও জারি করেছে।

চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি প্রশাসনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক চাং তেহুই জানালেন, ‘২০৩৫ সালে চীন প্রায় ১০টি জাতীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপনের চেষ্টা করবে। এতে ৮০ শতাংশ বুনো গাছপালা এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি বিরল গাছপালা সুরক্ষিত করা যাবে।’

পৃথকভাবে, চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেসের জীববৈচিত্র্য কমিটি বুধবার ক্যাটালগ অব লাইফ চায়না ২০২৪ বার্ষিক চেকলিস্ট প্রকাশ করেছে। এতে মোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ প্রজাতি এবং উপ-প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০২৩ সালের করা তালিকার চেয়ে যাতে ৬৪২৩টি প্রজাতি এবং ২৬৭টি উপপ্রজাতি বেড়েছে।

ফয়সল/নাহার

তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি