হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অনুন্নত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষকতার গল্প
2024-05-20 15:30:48

চীনের হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের পুরনো নাম হুনান নর্মোল স্কুল। ১৯০৩ সালে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এর অর্থ প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক বছরের ইতিহাস রয়েছে। এখন এটি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। শতাধিক বছরের মধ্যে এ কলেজ থেকে অনেক দক্ষ ব্যক্তি স্নাতক হয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রজন্মের যুব-শিক্ষার্থীরা, দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় পুনরুত্থানের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এ শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবেই প্রশিক্ষণের ওপর বেশ গুরুত্ব দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ বা নর্মোল বিভাগ এবং বিশেষ পদে শিক্ষক নিয়োগ পরিকল্পনায় ২০ হাজার জনেরও বেশি শিক্ষার্থী এখান থেকে স্নাতক হওয়ার পর গ্রামাঞ্চলের স্কুলে গিয়ে তাঁদের শিক্ষকতার কাজ শুরু করেছেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখন তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, হুনান প্রথম নর্মোণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক নর্মোল বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচিত দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় পুনরুত্থানের স্বপ্ন পূরণের জন্য আরও বেশি দক্ষ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা হুনান প্রথম নর্মোল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং তাঁদের গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতার জীবন নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

হুনান প্রদেশের তুচিয়া জাতি ও মিয়াও জাতির অধ্যুষিত এলাকার হুয়াহুয়ান জেলার শিপাতুং গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পু লি থাও ভোরবেলায় দরজা খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার পর ছাত্রছাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করেন। পাহাড়াঞ্চলে অবস্থিত এ স্কুলে মাত্র ১৬ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে থাকে। এখানে প্রিস্কুল, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস হয়। ৩৩ বছর বয়সের শিক্ষক পু এ স্কুলের একমাত্র শিক্ষক। ২০১৩ সালে তিনি হুনান প্রথম নর্মোল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর, বিশেষ পদের শিক্ষক পরীক্ষায় পাস করেন এবং এ স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি স্থানীয় শিক্ষা উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

নর্মোল কলেজে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শিক্ষক পু বলেন, “যখন আমি ক্যাম্পাসে হাঁটাহাটি করি, তখন আমার স্মৃতিতে শতাধিক বছরের আগের মাও সে তুং আর ছাই হ্য সেনের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা ফুটে ওঠে। এখানে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা যেন আশা পূরণের প্রক্রিয়া।”

হুনান প্রথম নর্মোল কলেজের শিক্ষক এবং জনাব মাও সে তুংয়ের শিক্ষক ইয়াং ছাং চি বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিত আদর্শ ও নৈতিকতা চর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়া; সমাজের উন্নয়নে সহায়ক কাজ যত বেশি করা যায়, তত ভালো। এ সম্পর্কে শিক্ষক পু বলেন, ছোটবেলায় তিনি গ্রামাঞ্চলের একজন পশুপালকের বাচ্চা ছিলেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়ন তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। দেশের উন্নয়নে নিজের অবদান রাখতে আগ্রহী তিনি।

২০১৮ সালের শরতের সেমিস্টারের আগে, শিপাতুং গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অন্য স্কুলে নিয়োগ করা হয়। নতুন সেমিস্টার ঘনিয়ে আসে, অথচ নতুন শিক্ষক তখনও ঠিক করা হয়নি। এ খবর পেয়ে শিক্ষক পু স্কুলে শিক্ষকতার আবেদন করেন। তবে, তখন তিনি অন্য একটি স্কুলের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। তাঁর বাচ্চার বয়সও মাত্র ১ বছর। পরিবার ও স্কুলের তাঁকে প্রয়োজন। এ সম্পর্কে শিক্ষক পু বলেন, “যদি আমি না যাই, তাহলে শিপাতুং গ্রামীণ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে পড়াশোনা করবে? এখন তাঁদের একজন শিক্ষক দরকার। তাই, আমাকে যেতে হবে।”

পাহাড়াঞ্চলের এ ছোট গ্রামে পৌঁছে শিক্ষক পু দেখেন, পুরনো ও জরাজীর্ণ স্কুলের ক্লাসরুম ও খেলার মাঠ। পরিস্থিতি তাঁর কল্পনার চেয়েও খারাপ। তবে, কষ্টকর পরিবেশ দেখে তিনি ভয় পাননি, হতাশ হননি। তিনি মনোযোগ দিয়ে ভালো করে স্কুলের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন সেমিস্টার শুরুর পর, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শিপাতুং প্রাথমিক স্কুলে বসবাস করা শুরু করেন। পুরনো স্কুলের ক্লাসরুম, টয়লেট, খেলার মাঠ সংস্কার করেন। ধীরে ধীরে স্কুলের লাইব্রেরি, ক্লাসরুম নতুন আকৃতি ধারণ করে। ২০২২ সালে শিক্ষক পু শ্রেষ্ঠ গ্রামীণ শিক্ষকের পুরস্কার লাভ করেন। যদিও তাঁর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তিনি স্ত্রীর সাথে ৮০ হাজার ইউয়ানের বৃত্তি স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে, স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়।

শতাধিক বছর আগে হুনান প্রথম নর্মোল কলেজ নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়োগের আগে একটি স্লোগান পেশ করতো, আর তা হল: ‘দেশের উন্নয়ন দক্ষ ব্যক্তিদের ওপর নির্ভর করে, দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের গুণগত মান শিক্ষার ওপর নির্ভর করে, এবং শিক্ষার্থীদের মান ভালো কি না তা নির্ভর করে প্রশিক্ষণের ওপর।” এ থেকে বোঝা যায়, শিক্ষাদান, শিক্ষার্থী ও দেশের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয় এ স্লোগান অনুসরণ করে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। হুনান প্রদেশের হুয়াইহুয়া শহরের হুইথং জেলার সুইয়ু প্রাথমিক স্কুলের গ্রামীণ শিক্ষক লি পো লিন হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের অন্যতম। ২০১৭ সালে তিনি স্নাতক হওয়ার পর ছাংশা শহরে চাকরির সুযোগ ছেড়ে দিয়ে, জন্মস্থান হুইথং জেলায় ফিরে আসেন। শুরুর দিকে গ্রামীণ শিক্ষকের কাজ তাঁর জন্য অপরিচিত ছিল। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যখন আমি প্রথম শিক্ষক হই, তখন প্রতিদিন বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য পরিকল্পনা ঠিক করতেই বেশি সময় ব্যয় করতাম। বাচ্চাদের ম্যান্ডারিন ভাষা চর্চা, শারীরিক ভঙ্গি ঠিক করা, দক্ষ শিক্ষকদের পড়াশোনার পদ্ধতি বিনিময় করাসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত হতো পরিকল্পনায়। তবে, একটি সেমিস্টার পর, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় তেমন কোনো উন্নতি দেখতে পেলাম না। সেমিস্টারের শেষ দিকে বাচ্চাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে চিঠি লেখার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারেন যে, বাবা-মায়ের সাথে না-থাকা গ্রামীণ বাচ্চাদের মনের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্বলতা কতো বেশি!

তখন তিনি নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কথা মনে করেন। পাঠ্যপুস্তুকের পড়াশোনার তুলনায় ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনের কষ্ট মোকাবিলার দক্ষতার ওপর বেশি মনোযোগ দিতেন। কিভাবে শ্রেষ্ঠ নৈতিকতা ও কর্মদক্ষতা অর্জন করা যায়, সেটি ছিল তাঁর দৃষ্টিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ। তখন শিক্ষক লি খেয়াল করেন যে, প্রত্যেক বাচ্চার আবেগ ও চেতনা বোঝার পর তাদের চাহিদা ও চরিত্র বিবেচনা করে শিক্ষাদান করা আরো জরুরি।

তখন থেকে তিনি নতুন পদ্ধতিতে বাচ্চাদের পড়ানোর চেষ্টা করেন। যেমন, চীনা ভাষা পড়ানোর সময় ক্লাসের বাচ্চাদের কবিতা রচনার দক্ষতা খোঁজেন তিনি। কবিতার মাধ্যমে মনের আবেগ ও ভালোবাসা প্রকাশে উত্সাহ দেন তিনি। ধীরে ধীরে অনেক বাচ্চা কবিতা লেখার মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে শুরু করে। কবিতা তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়।

শিক্ষক লি’র সহায়তায়, বিভিন্ন ঋতুতে ছাত্রছাত্রীরা গ্রামাঞ্চলের কৃষিকাজ ও জীবনযাপন পর্যবেক্ষণ করে, সংশ্লিষ্ট কবিতা লেখে। ৬ বছরের মধ্যে শিক্ষক লি’র নেতৃত্বে প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন, মনের দুঃখ ও সুখ নিয়ে বাচ্চারা সহস্রাধিক কবিতা লিখেছে।

বাচ্চাদের কবিতার উদাহরণ দিতে গিয়ে লি বলেন, “‘বসন্তকালের কোল বেশ উষ্ণ, রঙ্গিন ফুল আমার মুখে চুমু খায়’, ‘বসন্তকালে আশেপাশে হৃদস্পন্দনের শব্দ শোনা যায়’, ‘আমি মনের গোপন বাতাসকে বলি, বাতাস সারা বিশ্বে প্রবাহিত হয়’—কবিতার এমন লাইন দেখে আমি মুগ্ধ হই।”

নর্মোল বিভাগে পড়াশোনা করার সময় লি’র শিক্ষক বলেছিলেন, গ্রামীণ বাচ্চারা শিক্ষকদের ওপর বেশ নির্ভর করে। কারণ, শিক্ষকদের মাধ্যমে তারা বিশ্বকে জানার সুযোগ খোঁজে। শিক্ষক লি’র দৃষ্টিতে, শিক্ষকতার কাজ কেবল বাচ্চাদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা দেওয়া নয়, বরং তাদের বড় হওয়ার পথে একজন সহকারী, তাদের স্বপ্নের রক্ষক, আর চিন্তাভাবনার নির্দেশক হওয়া। বাচ্চারা যেন সাদা কাগজের মতো। তাদেরকে যা শেখানো হবে, তাঁরা তাই শিখবে। এখন শিক্ষক এ ব্যাপারে কতোটা দক্ষতা ও কার্যকারিতার পরিচয় দিতে পারেন, সেটা বিবেচ্য বিষয়। শিক্ষক লি মনে করেন, শিক্ষাদান ভালোবাসার সাথে জড়িত একটি কার্যক্রম। তিনি এ কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। বর্তমানে স্কুলে কবিতা লেখা বাচ্চার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ‘গ্রামীণ কবিতা ক্লাস’ স্থাপন করেন লি। এ কাজের মাধ্যমে বাচ্চাদের জীবন আরও সুন্দর হবে বলে আশা করেন তিনি।

চীনের হুনান প্রদেশ ও চিয়াংসি প্রদেশের সংলগ্ন এলাকার সিয়াছুন উপজেলার আশেপাশে সবই পাহাড়াঞ্চল। সিয়াছুন উপজেলা স্কুলে যুব-শিক্ষক সিয়াও ইয়ু সকালে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেন। এটি কেবল শিক্ষক সিয়াও’র কর্মস্থল নয়, এটি তাঁর জন্মস্থানও বটে। কারণ, তাঁর দাদা পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে ১৯৬৯ সালে এ স্কুল নির্মাণ করেন। তাঁর বাবাও শ্রেষ্ঠ চাকরি ছেড়ে দিয়ে দাদার মতো স্কুলের শিক্ষকতার কাজ করেন। সিয়াও ইয়ুর পড়াশোনার স্কোর বেশ ভালো ছিল। তবে, মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক হবার পর তিনি হুনান প্রথম নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্মোল বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। স্নাতক হওয়ার পর এ স্কুলে ফিরে আসেন। দাদা ও বাবা তাঁর মনে বীরের মতো। তিনি শহরে পড়াশোনা করেছেন এবং আবার গ্রামীণ স্কুলে ফিরে এসেছেন। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে শহরাঞ্চলের ব্যবস্থার ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। তবে, স্কুলের বাচ্চাদের জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ শহরের বাচ্চাদের মতোই।

গ্রামীণ স্কুলের বাচ্চারা সাধারণত অন্তর্মুখী। তাঁরা কথা বলতে ভয় পায় এবং ক্লাসে প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না। এমন বাচ্চাদের উত্সাহে তিনি অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। যেমন, স্কুলে বিশেষ মনোবিজ্ঞান কোর্স চালু করেছেন, বাচ্চাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে সহায়তা দেন, এবং বাচ্চাদের নোটবুকে উত্সাহব্যঞ্জক ও প্রশংসাসূচক কথা লেখেন।

তাঁর সহায়তায় বাচ্চাদের পরিবর্তন ঘটেছে। এটি শিক্ষক সিয়াও’র জন্য আনন্দের ব্যাপার। তিনি বলেন, প্রত্যেক বাচ্চা প্রশংসা ও মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য। তাই সঠিক পরামর্শ ও নির্দেশনায় তাদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করা সম্ভব।

স্কুলের অতীত অবস্থান কথা স্মরণ করে সিয়াও বলেন, “আমার দাদার সময় স্কুলে মাত্র কয়েক ডজন শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমানে স্কুলের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪০০ জনেরও বেশি। আধুনিক শিক্ষার সরঞ্জাম ও ক্লাসরুম আছে। এমন পরিবর্তন আরও বেশি যুব-শিক্ষককে আকর্ষণ করতে পারে এবং পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চারা বাড়ির কাছের স্কুলেও ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।”

(সুবর্ণা/আলিম/রুবি)