চিয়াং থাও
2024-05-17 14:37:42

চিয়াং থাও ১৯৬৭ সালের ২৬ অক্টোবর চীনের শানতোং প্রদেশের ছিংতাও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন পুরুষ কণ্ঠশিল্পী এবং চীনা সশস্ত্র পুলিশ আর্ট ট্রুপের একজন একক গায়ক।

 

১৯৮৭ সালে তিনি ছিংতাওয়ের কেটি সাধারণ শ্রমিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তাঁর বয়স ১৯ বছর, তিনি বাবার স্থলাভিষিক্ত হয়ে একজন রেলপথ শ্রমিক হন। কিন্তু সংগীতের প্রতি অনুরাগ তিনি কখনও ত্যাগ করেননি। অবসর সময়ে তিনি সংগীত সৃষ্টিতে নিয়োজিত রাখেন নিজেকে। ১৯৮৮ সালে অপেশাদার গায়ক হিসেবে তিনি জাতীয় ‘জয় কাপ’ গায়ক গ্র্যান্ড প্রিক্সে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯০ সালে তিনি ছিংতাও গান ও নাচের ট্রুপে যোগ দিয়ে একজন পেশাদার গায়ক হন। ১৯৯২ সালে ‘প্লিজ, আমার বন্ধু’ অ্যালবাম প্রকাশ করার মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ জগতে পা রাখেন।

১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর তিনি অন্য কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে সিসিটিভি বসন্ত উত্সব গালায় গান পরিবেশন করেন। ১৯৯৮ সালে সিসিটিভি বসন্ত উত্সব গালায় তিনি একক গান পরিবেশন করেন। তাঁর গাওয়া গানের নাম The ‘বোকা বুড়ো, যিনি পর্বতগুলো সরিয়েছিলেন’। গানটি চীনের একটি লোক কিংবদন্তী সম্পর্কিত। গল্পটা এরকম: ‘ইয়ুকং’ নামে এক বৃদ্ধ পাহাড় সরাতে অবিচল ছিলেন। শেষে স্বর্গের সম্রাট মুগ্ধ হয়ে পাহাড়টি সরিয়ে নেন।। এটি চীনের প্রাচীনকালের মানুষের প্রত্যয় ও  ঐকান্তিকতার প্রতিফলন।

 

২০০৫ সালে চিয়াং থাও ‘ফুল না ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুক’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের প্রথম পরিচিতিমূলক গান হিসেবে ‘জন্মদিনের উপহার’ গানটি ভালোবাসায় তারুণ্য ও বিভ্রান্তি, বড় হওয়ায় সংগ্রাম ও ব্যথা বর্ণনা করেছে। গানটির পরিবেশনায় চিয়াং থাও সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কণ্ঠস্বর ও হৃদয়ানুভূতি দু’টোই উষ্ণতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করেন, অনুভব করার জন্য শ্রোতাদেরকে পুরোপুরি জায়গা ছেড়ে দেন। গানটি তাঁর প্রতিনিধিত্বমূলক সৃষ্টির অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

‘জেং ইয়াং গেট’ হলো, টিভি নাটক ‘জেং ইয়াং গেটের গল্পে’র জন্য চিয়াং থাওয়ের গাওয়া একটি গান। নাটকটি বেইজিংয়ে বসবাসকারী একদল সাধারণ মানুষ সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের জীবন পরিবর্তন করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে— এমন একটি গল্প।

 

২০০০ সালে চিয়াং থাও ‘পার্টি সদস্যপদের জন্য আবেদন’ নামে একক গান প্রকাশ করেন। গানটিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে জনগণের জন্য পরিষেবা প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়। 

 

গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে চিয়াং থাওয়ের আরেকটি গান দিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শেষ করছি। গানের নাম ‘শান্তিপূর্ণ চীন’। 

 

(প্রেমা/হাশিম)